স্টাফ রিপোর্টার:: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) হিমঘরে রাখা একটি মরদেহ থেকে দুই চোখ গায়েব হয়ে গেছে। স্বজন ও পরিবারের দাবি, ওই মরদেহের দুই চোখ তুলে নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা বলছেন, মর্গে রাখা মরদেহের দুই চোখ খেয়ে ফেলেছে ইঁদুর।
ওই মরদেহটি রংপর নগরীর বুড়ির হাট বাহারদুর সিংহ জিপের পার গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুম মিয়া (৫২)।
হাসপাতালের দায়িত্বরতরা বলছেন, মর্গে লাশের দুই চোখ খেয়ে ফেলেছে ইঁদুর। ঘটনাটি নগর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। নগরীর বুড়িরহাট বাহারদুর সিংহ জিপেরপাড় গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুম মিয়ার সঙ্গে মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় শ্যালক সায়েদুরের। এ সময় সায়েদুরের লোকজন মাসুমসহ তার পরিবারের সদস্যদের দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মাসুমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মারুফা বেগম বাদী হয়ে সায়েদুরসহ ৩ জনকে আসামি করে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হিমঘরে রেখে দেয়। বুধবার (২৮ মে) সকালে হিমঘর থেকে বের করা হলে দেখা যায় লাশের দুটি চোখ নেই।
নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল জলিল জানান, হাসপাতালে ওষুধ চুরি হয় শুনেছি। এখন লাশের চোখও চুরি হচ্ছে। চোখ চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রমেকের সর্দার রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের হিমঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে। লাশের দু’টি চোখ খেয়ে ফেলেছে ইঁদুর।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মানিক ইসলাম বলেন, ইঁদুরের উৎপাতে প্রায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাইরে আছেন বলে জানান। উপ-পরিচালককে একাধিকবার ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানার ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সকালে লাশ দেখতে গিয়েছিলাম। লাশের চোখ ছিল না। কী কারণে লাশের চোখ ছিল না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply