নোটিশ :
► সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ।  ► আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪০৬৯২৯২৩
মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন 

মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন 

মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার,পঞ্চগড়ঃ পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার  জেলা শহরের ডোকরো পাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আবুল বাশার নামে এক ভূক্তভোগী।


একই সাথে আবুল বাশারের মানহানী করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী সুমনার মা মহসিনা বেগম বলেন, আমাকে কয়েককজন জোরপূর্বক ভাবে বক্তব্য দিতে বলেন। তারা জানান আমি যদি আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করি তাহলে তারা সব খরচ বহন করবেন। তারা আমাকে ভয় দেখালে আমি ভয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করি।। আমার হাফেজা মেয়ের আমি জান্নাত কামনা করি। 

 এসময় মাদ্রাসা ছাত্রীর মা মহসিনা বেগম সহ সংশ্লিষ্টরা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভূক্তভোগী আবুল বাশার বলেন, আমি দার আত তাওহীদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য। ফাউন্ডেশনের আওতায় সারাদেশে আমাদের ৪৫ টি মাদ্রাসা রয়েছে। জেলা শহরের কায়েতপাড়া এলাকায় অবস্থিত তাওহীদ মডেল মাদরাসাটি এই ফাউন্ডেশন এর আওতায় চলে। তবে আমি এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদে কোন দায়িত্বে নেই। গত ১৮ মে সন্ধ্যায় সুমনা আক্তার (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। পরে তার মৃত্যুর খবরটি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পরদিন তার মরদেহ দাফন করা হয়। 


তবে এই পরিবারটিকে সহায়তা করতে আমি হাসপাতালে ছুটে যাই এবং দাফন কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করি। এর আগেও দারা আত তাওহীদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা ওই শিক্ষার্থীর দুই বোনকেও বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু মৃত্যুর কয়েকদিন পরে শিক্ষার্থী সুমনা দূর সম্পর্কের এক দুলাভাই শান্ত আমার সাথে দেখা করতে চায়। পরে সে আমাকে জানায় ভাই সুমনার মৃত্যুটি রহস্যজনক। ময়নাতদন্ত ছাড়াই সুমনার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ কারণে যদি তাকে টাকা দেওয়া না হয় তাহলে তিনি দেখে নেয়ার হুমকি ও  হয়রানী করতে থাকেন । এছাড়া নানাভাবে হয়রনী করারও হুমকি প্রদান করেন তিনি। পরে ভুক্তভোগী আবুল বাশার কে জড়িয়ে কয়েককটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো হয়। যা  মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্ত্য করেন তিনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।
Design & Development BY : ThemeNeed.com