কেফায়েত উল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক::লালমনিরহাট পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড তালুক খটামারা (বটতলা) উত্তর সংলগ্ন রাস্তাটি প্রায় ৩৫ বছর আগে সেই সময়ের মকবুল চেয়ারম্যান রাস্তাটিতে ইটের সোলিং করার পর এই দীর্ঘ সময়ে আর কোন সংস্কার হয়নি রাস্তাটির।দীর্ঘবছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বর্ষায় একদম চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পৌরসভায় দেওয়া লিখিত দরখাস্ত থেকে জানা যায়, অতীতে নির্বাচিত কমিশনার ও মেয়রগণ রাস্তাটি উন্নয়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।রাস্তাটি প্রথমে অনুমানিক ৩০০-৪০০ মিটার সোজা থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাস্তাটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় অন্যদিকে।রাস্তা শুরু ও শেষের অংশের কাজ হলেও কিছু জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে মধ্যবর্তি রাস্তার কাজ এখনো হয়নি। বর্তমান সময়েও একাধিক বার পৌরসভা কতৃপক্ষেকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোন সুফল পায়নি বলে দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের দাবি, এখানকার কয়েকশত পরিবারের সহস্রাধিক মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ ।পাশেই রয়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত এই পথ দিয়েই চলাচল করতে হয় । বিশেষ করে বৃষ্টি বাদলের দিনে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই পথ দিয়ে বর্ষার সময়ে চলাচল করতে হয় ফলে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে ।স্থানীয়রা নিজস্ব উদ্যোগে রাস্তায় মাটি ও ইটের রাভিস দেওয়ায় শুকনো মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে দূর্ভোগের সীমা থাকেনা।স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই রাস্তাটি এভাবেই সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় বর্ষায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় বলে দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, প্রায় ৩৫ বছর আগে মকবুল চেয়ারম্যান ইটের সোলিং করে দেওয়ার পর আর কোন কাউন্সিলর, মেয়র এই রাস্তার উন্নউনে কোন কাজ করেননি।বর্ষায় মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বর্তমান পৌরসভা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
স্থানীয় দারুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসার পরিচালক নুর ইসলাম বলেন , বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেক মেম্বার, চেয়ারম্যান এসেছে গেছে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাস্তাটা করে দিবে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে আর কাজ করেননি।এই পথ দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র /ছাত্রীরের চলাচল করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাচ্চাদের কাপড় নোংরা হয়ে যায়।আমরা এই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই, যেন আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামেউর রুমুজ বলেন, বিগত সময়ে আমরা অনেকবার মেয়রকে এবং বর্তমান পৌরসভা, এডিসি মহোদয়কে লিখিত দরখাস্ত দেওয়ার পরেও আমরা এই রাস্তার কোন উন্নয়নের আগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান চাওয়া বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে এ এলাকার মানুষজন যেন চলাচলের জন্য ভালো একটি রাস্তা পায়। বাচ্চারা যেন স্কুলে চলালচের জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ পায় এটিই প্রত্যাশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
দীর্ঘদিন বৈষম্যের অবহেলায় পড়ে থাকা রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে এখানকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার দাবি এলাকাবাসীর।
লালমনিরহাট পৌরসভার উপ – সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের লিখিত দরখাস্ত আমরা এখন পর্যন্ত পাই নি। আগের দরখাস্ত থাকলে তার কপি অথবা নতুন করে দরখাস্ত দিলে আগামী জুনে বাজেট হলে রাস্তাটির কাজ করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন পৌরসভার ওই কর্মকর্তা।
Leave a Reply