শেরপুর প্রতিনিধি:: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্ধুর স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে পরিবারের লোকজন। প্রতিপক্ষ প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে ওই পরিবারটিকে। এ নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করছেন ভুক্তভোগী দুই সন্তানের জননী রুপালী খাতুন।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মফিজুল ইসলাম (৩৪) একই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে জুয়েল মিয়া (২৭) এর সাথ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুত্র ধরে বন্ধু মফিজুলের সাথে জুয়েল মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রুপালী খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তার প্রথম স্বামী জুয়েল মিয়ার সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর জুয়েল মিয়াকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক দিয়ে জুয়েলের বন্ধু মফিজুলের সাথে দ্বিতীয় বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আবারও সংসার জীবন শুরু করেন রুপালী।
এদিকে, প্রথম স্বামী জুয়েল মিয়া রুপালীর দ্বিতীয় সংসারের সুখ শান্তি বিনষ্ট করতে দ্বিতীয় স্বামী মফিজুল ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে গত ১৫ মে দ্বিতীয় স্বামী মফিজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন জুয়েল ও তার সহযোগীরা। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে রক্ষা করেন।
ভুক্তভোগী রুপালী বেগম জানান, তিনি দুই সন্তান রেখে জুয়েল মিয়াকে তালাক দিয়ে মফিজুলকে রেজিষ্ট্রী কাবিনমুলে বিয়ে করায় তাকে ও তার দ্বিতীয় স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমনকি তার শ্বশুর মোহাম্মদ আলীকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই। এজন্য আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
রুপালীর (বর্তমান) দ্বিতীয় স্বামী মফিজুল ইসলাম বলেন, আমার বন্ধু জুয়েল মিয়াকে তালাক দিয়ে রেজিষ্ট্রী কাবিনমুলে রুপালী আমাকে বিয়ে করায় দুই বন্ধুর মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এমনকি আমাকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে জুয়েল। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জুয়েল মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী রুপালী বেগম যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। সে যে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে সেই ডিভোর্স লেটার আমি এখনো পাইনি। বরং সে আমার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, রুপালী বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply