কেফায়েত উল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক::লালমনিরহাট এলজিইডি’র বিভিন্ন পদে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাটের সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান গত ২৫ মে এই মামলাটি দায়ের করেন। দন্ডবিধি’র ৪১০/৪০৯/১০৯ সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২)ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
একই কার্যালয়ের উপপরিচালকের বরাবর দায়ের করা এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, লালমনিরহাট এলজিইডি’র সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুর কাদের ইসলাম, লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মোঃ হারুন আর রশিদ, একই উপজেলার বর্তমান প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুর রহমান, এলজিইডির সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাফিউল ইসলাম রিফাত, এলজিইডির বর্তমান উপ সহকারী প্রকৌশলী প্রেমানন্দ রায়,এলজিইডির বর্তমান হিসাব রক্ষক মনোরঞ্জন রায় সহ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। এই দুই প্রতিষ্ঠানের যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয় তারা হলেন মেসাস কে এম বদরুল আহসান এর স্বত্বাধিকারী কে এম বদরুল আহসান এবং ঢাকা দোহার থানার মেসার্স সুরমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আইয়ুব আলী। এর মধ্যে বদরুল আহসানের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলা থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা ওই দুই ঠিকাদারের সাথে জোগসাযোসে কাজ না করেই নির্ধারিত সময়ের আগেই জামানতের মোট ১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯৯.০৭ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউপি’র রতনাই নদীর উপর নির্মিত সেতুসংযোগ ও নির্মাণের ক্ষেত্রে এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে দুর্নীতির ওই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।গত ২০২২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের ১৫ ই মেয়ের মধ্যে এই অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনাটি ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধী রয়েছে,- এর বেশি আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায় মামলায় অভিযুক্তদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে। অপরদিকে মামলায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের অনেকেই ফোন রিসিভ না করলেও লালমনিহাট সদর উপজেলার বর্তমান প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুর রহমান এবং সদর উপজেলার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাফিউল ইসলাম রিফাতের সাথে এই প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মামলা চলমান অবস্থায় কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে এতটুকু বলব নিয়ম অনুসরণ করেই আমরা কাজ করেছি। মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতের রায়েই প্রকৃত সত্যতা উঠে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
Leave a Reply