নোটিশ :
► সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ।  ► আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪০৬৯২৯২৩
হৃদরোগে যুবদল নেতার মৃত্যু, ‘হত্যা’ দেখিয়ে শেখ হাসিনার নামে মামলা

হৃদরোগে যুবদল নেতার মৃত্যু, ‘হত্যা’ দেখিয়ে শেখ হাসিনার নামে মামলা

ছবি: নিহত যুবদল নেতা ফোরকান আলী

ডেস্ক রিপোর্ট:: বগুড়ার শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে হৃদরোগে মারা যান খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফোরকান আলী (৪৭)। পরিবারের অমতে দলীয় নেতা এ ব্যাপারে আদালতে হত্যা মামলা করেন। মৃতের বাবা এ মামলা প্রত্যাহারে আদালতে আবেদন ও লাশ উত্তোলনে বাধাও দেন।

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানাসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে করা যুবদল নেতা ফোরকান আলী হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিতের জন্য তৎকালীন সময়ে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছিলেন তাঁর বাবা আবদুল কুদ্দুস।

এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ও তদন্তে পাওয়া আসামি হিসেবে ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ শনিবার (৩১ মে) রাতে উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আলাল উদ্দিনকে (৪৮) গ্রেফতার করা হয়। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ফোরকান আলী শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও ঘাসিড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিএমএসএসে চাকরি করতেন। গত ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে সাজাপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে মিছিল বের করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়ায় মিছিল থেকে পালানোর সময় ফোরকান হৃদরোগে মারা যান।

দল থেকে তাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠলেও তার বাবা ও ভাই জানান, ফোরকান হামলা বা গুলিতে নয়, হৃদরোগে মারা গেছেন। চাপের মুখেও তার পরিবার মামলা থেকে বিরত থাকেন।

অথচ খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস আলী হলুদ তাকে (ফোরকান) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত বছরের ১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৬০ জনকে আসামি করা হয়।

ফোরকানের বাবা আবদুল কুদ্দুস মামলাটি প্রত্যাহার করতে আদালত ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন। এ ছাড়া কবর থেকে ছেলের লাশ উত্তোলনেও বাধা দেন। এরপরও এ ‘হত্যা’ মামলায় গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যুবদল নেতা ফোরকান মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার থেকে মামলা করা হয়নি। এমনকি পরিবার থেকে লাশ উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়। দলের এক নেতা আদালতে হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের বাবা আবদুল কুদ্দুস এ মামলা প্রত্যাহারে আবেদন করলেও আদালত তা অগ্রাহ্য করেন। ফলে মামলাটি চলমান আছে। এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় এবং তদন্তে পাওয়া আসামি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার রাতে শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ পূর্বপাড়ার বাড়ি থেকে মৃত গমির উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তদন্তে পাওয়া আসামি। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তথ্য সূত্র: Bangla Tribune


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।
Design & Development BY : ThemeNeed.com