রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহী জেলায় চলতি বছরের মে মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ১৪টি উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার লফস।
সংস্থাটি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি মাসে এ ধরনের ঘটনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে।
লফস-এর তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে রাজশাহীতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের মধ্যে রয়েছে আত্মহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার মতো জঘন্য অপরাধ।
সংস্থাটি মনে করে, এই অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে যৌতুক, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত সমস্যাগুলোকে এসব ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।
মে মাসের ঘটনার সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো-হত্যা চেষ্টার শিকার নারী ১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা নারী ১ জন, ধর্ষণ ১ শিশু ও ২ নারী, গণধর্ষণ ১ শিশু, আত্মহত্যা ১ শিশু ও ৩ নারী, নির্যাতন ৩ নারী, অপহরণ ১ শিশু।
বিষয়ভিত্তিক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা মধ্যে, বাগমারায় বিলকিস নাহার (২৬), নাসিমা বেগম (৪০) ও তানজিলা বেগম (৭০) আত্মহত্যা করেছেন।
পুঠিয়ায় সূর্য বেগম (৬০)-কে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীতে মুরসালিনা খাতুন (২৮) নামের এক নারী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দূর্গাপুর ও বাঘমারায় দুই শিশুকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।টিউশন ফি না দিতে পারায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, “প্রকাশিত ঘটনাগুলোর বাইরেও বহু নির্যাতনের ঘটনা সমাজে ঘটছে, যা সংবাদমাধ্যমে আসে না বা প্রমাণের অভাবে আড়ালেই থেকে যায়। এ বাস্তবতা অত্যন্ত হতাশাজনক।
তিনি বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।”
লফস সংস্থা সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
Leave a Reply