নোটিশ :
► সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংবাদদাতা নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ।  ► আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪০৬৯২৯২৩
সংবাদ শিরোনাম:
প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবীগঞ্জে বৃত্তিপ্রাপ্ত ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা লালমনিরহাটে কলেজ মাঠ ও রাস্তা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন! পাকিস্তান আসছে বাংলাদেশ সফরে, চূড়ান্ত হলো সময়সূচি আগামীকাল ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ডোমারে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভিজিডির ১১৫ বস্তা চাল উদ্ধার জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে গাইবান্ধা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা তিস্তায় হুহু করে বাড়ছে পানি, ডালিয়ায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে, সৎ মা’সহ আটক ৩

নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে, সৎ মা’সহ আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক::জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর ৪ বছরের শিশু রদিয়া আক্তার রুহির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রদিয়া আক্তার রুহি হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহত শিশুর চাচা রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎ মা আব্দুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এবং আব্দুর রহমানের শ্বশুর পাঁচবিবি উপজেলার শালট্টি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন।

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। আব্দুর রহমানের প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়িতে থাকেন। মেয়ে রুহি মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফিরে আসেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎ মা জানান, তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা ও নানা-নানীরা। তাকে কোথাও না পেয়ে পরদিন কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুহির মা। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎ মা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ভেতরে ফেলে দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রুহির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।
Design & Development BY : ThemeNeed.com