মারিয়া সরকার মিম,স্টাফ রিপোর্টার:: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি চলতি বছর থেকেই চালু করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন (ইএমআইএস) সেল এ সফটওয়্যার তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের একটি অংশ বদলির সুযোগ পাবেন।
মাউশি জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এ বদলি নীতিমালায় কেবলমাত্র বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলির কথা বলা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই বদলির সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, ‘বদলি নীতিমালায় এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির কথা বলা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী বদলির ব্যবস্থা করতে কাজ করছি। নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।’
বদলির সফটওয়্যার তৈরিতে ৭ সদস্যের কমিটি
এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরি করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে বদলির সফটওয়্যার তৈরি করবে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার সফটওয়্যার প্রণয়ন কমিটির একটি সভা হয়েছে।
মাউশির একটি সূত্র জানিয়েছে, সফটওয়্যার তৈরির কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক প্রফেসর বি. এম. আব্দুল হান্নানকে। কমিটিতে একই শাখার উপ-পরিচালক (কলেজ-২) মোঃ নওসের আলী, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. ইউনুছ ফারুকী, সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিন, ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমানসহ আরও দুই কর্মকর্তা রয়েছে।
এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, ‘শিক্ষকদের বদলি সফটওয়্যার তৈরির জন্য ইএমআইএস সেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেলের তিন কর্মকর্তা গতকাল আমাদের সঙ্গে সভা করেছেন। আশা করছি চলতি বছর থেকেই শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে।’
বদলি শুরু হতে পারে নভেম্বরে
মাউশি জানিয়েছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে বদলি সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী তারা। জুলাই এবং আগস্ট মাসে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই এবং সার্ভারে তথ্য আপলোডের কার্যক্রম শেষ করা হবে। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি, অক্টোবরে আবেদনগ্রহণ এবং নভেম্বর মাসে বদলি কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
মাউশির উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, ‘এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বদলি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। নীতিমালায় যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই বদলির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একবার সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ হলে অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে খুব একটা বেগ পোহাতে হবে না।’
Leave a Reply