রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কলেজপড়ুয়া আরাফাত প্রামাণিক (২০) নামের ভাগিনার প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এক সন্তানের মা শাপলা বেগম (২২)। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগিনার সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন এই মামী। সম্প্রতি এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে আবার অতি উৎসাহে গাইছেন আঞ্চলিক ভাষায় -‘ওই দেখা যায় সোনার ভাগিনা আইসে আমার বাড়ি রে, পাগল করলো ভাগিনা রে।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগিনার সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন লোক মুখে এটাই শুনছি।
এ ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। এরই মধ্যে কাজের তাগিদে শাহিন মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার আপন ভাগিনা ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আরাফাত প্রামাণিক প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
এ সুবাদে মামী শাপলা বেগমের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ভাগিনা আরাফাত। গোপনে উভয়ের মধ্যে চলে মন দেওয়া-নেওয়া। একপর্যায়ে এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে গত ৮ এপ্রিল শাপলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগিনা আরাফাতের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি ‘টক অব দ্য ভিলেজে’ পরিণত হয়। সেই গানটির পাশাপাশি ছিঃ ছিঃ রবও উঠেছে এলাকায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাপলা বেগমের স্বামী হারুন অর রশিদ শাহিন বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘরে থাকা গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিশু সন্তানকে নিয়ে আরাফাতের সঙ্গে পালিয়ে গেছে শাপলা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার বাবা রেজা প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগিনার সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Leave a Reply