এনামুল হক।। ‘মুজিব বর্ষের শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’ এই প্রতিপাদ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার (১৫ মার্চ) উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ইউএনও মোহাম্মদ-আল-মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার, মাংস ব্যবসায়ী জোবায়দুর রহমানসহ আরো অনেকেই। এতে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জন সচেতনার উপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি প্রজেক্টের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বক্তারা ভোক্তা অধিকার দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সব ব্যবসায়ীদের ভোক্তাদের নিকট সঠিক পরিমাণে ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ভোক্তাদেরও দেখে শুনে পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য,জনগণকে অধিকতর সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৬২ সালের এই দিনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তার চারটি অধিকার সম্বন্ধে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসাবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করে। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ অধিদপ্তর।