অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন বৃষ্টি আক্তার, । সংসারের প্রয়োজনে গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ করেন বৃষ্টি। কিন্তু টাকা তুলেই তিনি পড়ে যান আরেক ঝামেলায়। তার স্বামী রমজান আলী এই টাকা চাচ্ছেন, চাপও প্রয়োগ করছেন তার ওপর।
বৃষ্টি রমজানকে টাকা দিতে রাজী হননি, তিনি চেয়েছিলেন অভাবের সংসারে প্রয়োজন মেটাতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অবশেষে বৃষ্টিকে হতে হলো খুন।
গতকাল শনিবার সকালে বৃষ্টিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, টাকা না পেয়ে রমজান আলী তার স্ত্রী বৃষ্টিকে হত্যা করেন।
শনিবার দুপুরে নিহত বৃষ্টির মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ রমজান আলীকে গ্রেফতার করে। আর বৃষ্টির ননদ স্বপ্না পলাতক রয়েছেন।
নিহত বৃষ্টি আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের কলসা গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের মেয়ে। আর হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বৃষ্টির স্বামীর বাড়ি সান্তাহারের চা-বাগান মহল্লা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টি রমজানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। রমজান তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে বৃষ্টিকে বিয়ে করেছিলেন। তারা সান্তাহার চা-বাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। বৃষ্টি ১৫ হাজার টাকা কিস্তি তুলেছিলেন, তার স্বামী এই টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করেছেন।
বৃষ্টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন আরেক আসামি নিহত বৃষ্টির ননদ।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।