ক্রীডা প্রতিবেদন।। শঙ্কার মুখে এ বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত জায়গা করে নিলে, স্থগিত হতে পারে এ বছরের এশিয়া কাপ। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি।
এশিয়া কাপের সূচির সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের তারিখ সাংঘর্ষিক হওয়ায় আসরটি অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২৩ সালে। এদিকে মার্চের মধ্যেই বিশ্ব টি-২০’তে অংশ নেয়ার জন্য পাকিস্তানের খেলোয়াড়, সাংবাদিক ও ভক্তরা ভিসা পাবে এমন নিশ্চয়তা দিবে ভারত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
ভারতের দাপটের কাছে অন্য ক্রিকেট বোর্ডের আত্মসমর্পণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসিও বিসিসিআই’য়ের সামনে নতি স্বীকার করেছে।
এমন আরো একটা ঘটনা হয়তো দেখা যাবে শিগগিরই। যদিও সেটা ক্রিকেটীয় কূটনীতি বিষয়ে কিছু নয়। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়ার সমীকরণে ভালোমতই টিকে আছে বিরাট কোহলির দল। আহমেদাবাদে শেষ টেস্টে হার এড়ালেই প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে ভারত। আর ইংল্যান্ড জিতলে, ১৮ জুন লর্ডসে হওয়া ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।
ভারত কোনো টুর্নামেন্টে খেললে সেখানে আর্থিক ভাবে লাভবান হয় আয়োজকরা। তাই ভারতকে ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চাইবে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। সেটা করলে তারা হারাবে বড় অংকের রাজস্ব। সে জন্যই ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিলে, স্থগিত হবে এশিয়া কাপ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সঙ্গে এই আসরের তারিখ সাংঘর্ষিক হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কিছু না জানালেও, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এহসান মানি। করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন , “এই দুই আসরের তারিখ সাংঘর্ষিক। আমাদের মনে হয় না, এবার এশিয়া কাপ হবে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টটিকে ২০২৩ সালে পিছিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কারণ এ বছরের আসরটি অনুষ্ঠিত হবার কথা শ্রীলঙ্কায় আর আগামী বছর আমাদের এখানেই হবে এশিয়া কাপ”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল এশিয়া কাপ। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রকোপের জন্য জুলাইয়ে স্থগিত করে দেওয়া হয় টুর্নামেন্টটি। সে সময় এসিসি জানায় এ বছরের জুনে আয়োজন করা হতে পারে এশিয়া কাপ।
এদিকে এ বছর টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। সেই আসরে খেলতে বেশ আগে থেকেই ভারত সরকারের কাছে পাকিস্তান দাবি করে আসছিলো তাদের দেশ থেকে যাওয়া ক্রিকেটার, সাংবাদিক ও ভক্তদের ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা। অবশেষে আইসিসি জানিয়েছে মার্চের মধ্যেই ভারতের কাছ থেকে লিখিত ভাবে সেই নিশ্চয়তা পাবে পাকিস্তান।