মো: ইব্রাহিম আলী গুরুদাসপুর নাটোর।। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, যে মঞ্চটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মঞ্চে ভূমি সেবা প্রদানের কার্যক্রম চালু ছিল। মঞ্চটির কাপড় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের অস্থায়ী মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় নৈশ্যপ্রহরী রাকিবকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মারধরও করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ওই মঞ্চতেই সাংসদ কুদ্দুসের সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল আজ সোমবার। এঘটনায় পৌর মেয়র সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা কবিরকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, যে মঞ্চটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মঞ্চে ভূমি সেবা প্রদানের কার্যক্রম চালু ছিল। মঞ্চটির কাপড় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে টাকা, মোবাইল ছিনতাই ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় নৈশ্যপ্রহরী রাকিব বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নৈশ্যপ্রহরী রাকিব বলেন, রোববার রাতে তিনি পরিষদের পৃর্বদিকের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
হঠাৎ রাত সাড়ে দশটার দিকে চার যুবককে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দেখেন। বিষয়টি তিনি বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পান মঞ্চতে আগুন জ্বলছে। তিনি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ওই চার যুবক তাকে জাপটে ধরে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। একপর্যায়ে মোবাইল, টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।
সাংসদ সমর্থক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখ বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সোমবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন তারা। উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে সম্মেলনের অনুমতি না পাওয়ায় পরিষদ চত্বরের অস্থায়ী মঞ্চতেই তাদের সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের কালিবাড়ি রায়পুর গ্রামে পুকুর খনন সংক্রান্ত সালিশি বৈঠকে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে মারধর করা হয়।
তার প্রতিবাদে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিনা অনুমতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লোকসমাগম ঘটিয়ে সামাবেশ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী।
নাটোর জেলা আ’লীগের সভাপতি সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ওই সমাবেশে তাকে নিয়ে কটূক্তি করে মিথ্যাচার করা হয়। অশালীন ভাষায় গালমন্দ করা হয়। মূলত সেই বিষয়ের প্রতিবাদ সরুপ তারা শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসা বসত সরকারি মঞ্চটি পুড়িয়ে দিয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, মঞ্চ পুড়ানোর সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। হয়রানী করতেই তার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।