ক্বারী মোঃ আবু জায়েদ খাঁন,গাইবান্ধা।। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে কর্মরত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী আমিনুল ইসলামের দৈনিক পারিশ্রমিক ৬০ টাকা ও নৈশ প্রহরী কাম ঝাড়দার মোশারফ হোসেনের দৈনিক পারিশ্রমিক ২০ টাকা।
পারিশ্রমিক বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে একাধিক নির্দেশনা আসলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই পরিবার দুটি। তথ্যে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গাইবান্ধা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় কর্তৃক ২০ জানুয়ারী ২০১১ সালের এক আদেশে সুন্দরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নিমিত্তে দৈনিক ৬০টাকা পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে ঝাড়–দার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় আমিনুল ইসলামকে।
যার স্বারক নং- মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ, ঢাকা মহোদয়ের ১৪-৬-২০০৭ইং তারিখের নিপ/জেঃ প্রঃ শাঃ/৭৭৫৫ (৬১)। তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার প্রণব কুমার ভৌমিক ওই আদেশে স্বাক্ষর করেন।
একইভাবে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ, ঢাকা মহোদয়ের ২৭-৯-২০০২ ইং তারিখের ১১২২ নং স্বারকে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে সুন্দরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে মূল্যবান রেকর্ড পত্রের নিরাপত্তার জন্য নৈশ প্রহরী কাম ঝাড়–দার হিসেবে মোশারফ হোসেনকে ৫ই মার্চ ২০০২ সালে নিয়োগ দেয় জেলা সাব-রেজিস্ট্রার।
তার দৈনিক পারিশ্রমিক ছিলো ২০ টাকা মাত্র। মোশারফ হোসেনের নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জেলা সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল গনি। একজন শ্রমিকের দৈনিক পারিশ্রমিক ২০ টাকা ও ৬০ টাকা। বিষয়টি অমানবিক।
ফলে তাদের পারিশ্রমিক ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পুনঃ নির্ধারণ করে একাধিক নির্দেশনা আসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে। সর্বশেষ অর্থ বিভাগ কর্তৃক দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরি হার সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হয় ২০২০সালের ২৮ অক্টোবর।
এতে স্বাক্ষর করেন অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব হাসানুল মতিন। স্বারক নং০৭.০০.০০০০.১৭৩.৬৬.০৫৯.১৫ (অংশ-১)-৯৩। সেখানেও জেলা ও উপজেলা এলাকায় দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরি হার পুনঃ নির্ধারণ করা হয় ৫০০ থেকে ৫৫০টাকা। কিন্ত কোন এক অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই দুই পরিবার।
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক পারিশ্রমিক অনেক কম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ছোট মানুষ, এখানে কিছুই করার নেই আমার। তবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।