ফেনী সদরে উপস্থিত একমাত্র ফেনী ইউনিভার্সিটির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ‘সেন্টার ফর লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ শ্লোগান নিয়ে ২০১৩ সালের ১৫ মে ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। শহরের পুলিশ লাইন সংলগ্ন ৫০ হাজার বর্গফুটের সাত তলার তিনটি ভবনে বেসরকারী উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন লাভ করে। ফেনী ইউনিভাসিটির প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিনটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গৃহীত হয়।
এই ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে ৩টি অনুষদ, ৭টি বিভাগ, গবেষনা কেন্দ্র ফেনী ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সেল রয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৩শ এবং শিক্ষক সংখ্যা ৫০ জন।
এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১শ জন। এখানে ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। শহরতলীর মোহাম্মদ আলীতে সাড়ে ১০ একর জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার জন্য ২১ জনের ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। আর বোর্ডের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাহী সচিব ডা: তবারক উল্যাহ চৌধুরী বায়েজিদ ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা ফেনীবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, এতদঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার মহান ব্রত নিয়ে যে ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করেছিল সেটির সুনাম-সুখ্যাতি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতেও ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।