নাঈম হাসানের সঙ্গে ভালোভাবেই সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু নাঈম আউট হয়ে গেলে সেঞ্চুরি পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যান মিরাজ। শেষ উইকেটে মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেটে এসে বন্ধু মিরাজের জন্য টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ নিজেও। ভীতি নিয়েই খেলে ফেলেন ১১ বল। আর মিরাজও পেয়ে গেছেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি।
আজ বৃহস্পতিবার মুস্তাফিজের সঙ্গে দশম উইকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। কিন্তু সেঞ্চুরির আগ মুহূর্তে জুটি ভাঙা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন মিরাজ-মুস্তাফিজ দুজনেই। শেষ মুহূর্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মিরাজ বলেন, ‘মুস্তাফিজ আমাকে বলেছে যে, দোস্ত আমার খুব ভয় লাগতেছে তোর (মিরাজ) টেনশনে। যেখানে তোর ৯০ হয়ে গেছে, সেখানে যদি আমি আউট হয়ে যাই!’
এরপর উল্টো মুস্তাফিজকেই সাহস দিয়েছেন মিরাজ। সতীর্থকে ওই সময় তিনি বলেন, ‘আমি ওরে (মুস্তাফিজ) একটা কথাই বলেছি, দোস্ত এটা তোর হাতেও নেই, আমার হাতেও নেই। শুধু স্বাভাবিক খেলাটাই খেল। যদি আমার ভাগ্যে থাকে, তাহলে ১০০ হবে। এটা তো কারো হাতে নেই। চেষ্টা করব ভালোমতো খেলার।’
২০১৬ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মিরাজের। এরপর ২২ ম্যাচে ৪২ ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন, কিন্তু সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না তিনি। দীর্ঘদিন পর এবার শতক পাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসলেন এই অলরাউন্ডার। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মিরাজ।
২০১৮ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেন মিরাজ। আর এই ইনিংসকেই রূপ দিলেন শতকে। মিরাজের আগের সর্বোচ্চ ইনিংস হলো ৬৮, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তারও আগে ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে করেন ৫১ রান। ওই ইনিংস ছিল তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এ ছাড়া গত ১২ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠেই অন্যরূপে দেখা দিলেন এই অলরাউন্ডার। তাঁর ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করে বাংলাদেশ।