জিএম কৃষ্ণা শর্মা, স্টাফ রিপোর্টার।। জীবন এক ধরনের সাহিত্য যা মানুষের উপর লেখা হয়। জীবনী কখনও কাল্পনিক হয় না। জীবনী শুধু মানব জীবনের বাস্তব কাহিনী। জন্ম, শিক্ষা, কাজ ইত্যাদি হলো জীবন বৃত্তান্তের অংশ। কবি মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম ৩১শে জানুয়ারী ১৯৭৩ সালে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানাধীন সিদ্দেশ্বরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি মুন্সীবাজার কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে এইচ এস সি পাস অতঃপর একই কলেজ থেকে তিনি বি এস এস পাস করেন।
বদরুল ইসলাম থেকে কবি জীবনে আসার ঘটনা:
প্রথমে পাঠক হয়েছেন,প্রচুর কবিতা পড়তেন তিনি। এরপরে টুকটাক লেখালিখি শুরু করেন। অনেকটা হঠাৎ করেই তিনি লেখালিখিতে চলে আসলেন। । এখানে এসেও পেলেন আরো জটিল অভিজ্ঞতা। তিনি দেখলেন এখানে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশী,তারচেয়েও গ্রুপ বেশী। তবুও তিনি সাহিত্যের মাঝে নিজের ভালোলাগা খুঁজে পেলেন। তাঁর প্রথম স্বরচিত কবিতাটির নাম “আমি গণ মানুষের কবি”। সাহিত্যকর্মে তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাঁর গুরুজ্বী বিশিষ্ট কবি ও ঔপন্যাসিক রাববানী সরকার। তিনি মনে করেন নবীন ও প্রবীন প্রত্যেক লেখকের উচিৎ সেই সাহিত্যচর্চা করা যে সাহিত্য মানুষের কল্যাণ করে। শালীন ভাষায় সাহিত্য চর্চা করেও প্রকৃত সাহিত্যিক হওয়া যায় বলে তাঁর মত। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি সৎ আদর্শ, সৎ নীতি থাকা অতিজরুরী বলে তিনি মনে করেন। সাহিত্যে চোর আর নকলদের আধিক্য নিয়ে তিনি বেশ বিরক্ত।
তিনি মনে করেন চোর সব জায়গায় আছে,শুধু সাহিত্য জগতেই নয়,ওপর থেকে নীচের দিকে চোরের খনি আছে। তিনি মনে করেন নিজ নিজ দায়িত্বে এদেরকে সচেতন করতে পারলে সাহিত্যজগৎ আরো সুন্দর ও পরিশীলিত হবে। সম্প্রতি তিনি “ভাবনার তেপান্তর ” নামে একটি একক কাব্যগ্রন্হ প্রকাশ করেছেন। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় বই মেলায় গ্রন্হটির মোড়ক উন্মোচিত হবে।