বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর দুই কর্মী ও সমর্থককে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলায় আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন নৌকা প্রতীকের কর্মী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)।
মামলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের ১৭ জন কর্মী ও সমর্থককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাদীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানিসহ তার ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে মামলায়।
এদিকে বুধবার গভীর রাতের এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকেই তিন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। দায়ের করা মামলায় আটক এ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতে পাঠায়।
গ্রেফতাররা হলেন, মামলার ১২ নম্বর আসামি বাপ্পি (২৮), ১৩ নম্বর আসামি ইশতি (২৬) এবং ১৪ নম্বর আসামি রাসেল (৩০)।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের জামাতা ও তার মেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মহসিনা মিতুলের স্বামী মো. আরিফ হোসেন খানকে (৪০)।
এছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৫), পরান কৃষ্ণ বনিক (৫৬), লিটন বনিক (২০), জালাল ফকির (৫৫), স্বপন (৪৫), পবিত্র সমাদ্দার (৩৮), মো. ছগির হাওলাদার (৪৫), মীর আবুল কাশেম (৪৮), মো. দুলাল (৪৫), মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল (২৮), আ. ছালাম (২৫), মো. শামিম (২৫) এবং মো. রাজিব (৩৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ঘরের সামনের রাস্তায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় বাদী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধাওয়া দেন অভিযুক্তরা। এ সময় তিনি দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে মারধর শুরু করেন অভিযুক্তরা।
এ সময় তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করেন অভিযুক্তরা। পরে মারধর শেষে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও লুটে নেন তারা।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শহিদুল বলেন, এ ঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।