রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি:: রায়পুরা পৌর শহরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে দোকানে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খালেক মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খালেক উপজেলার সাহারখোলা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে এবং পেশায় একজন মাংস ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে পৌর শহরের হাসিমপুর মৌলভীবাজারে মাংস ব্যবসায়ী খালেক মিয়ার দোকান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর চিৎকার ও অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায়। এতে বাজারের নৈশপ্রহরীসহ আরো কয়েকজনের সন্দেহ হলে দোকানের সামনে জড়ো হন তারা।
প্রমাণ হিসাবে ওই সময় শাটারের নিচ দিয়ে ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। পরে স্থানীয়দের চাপের মুখে সাটার খুলে দেন খালেক। তখন দোকানের ভেতর ভারসাম্যহীন ওই নারীকে দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার পর মাংস ব্যবসায়ী খালেক মিয়াকে আটক করে স্থানীয়রা।
ওই রাতে পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ অভিযুক্ত খালেক মিয়াকে ধরতে অভিযানে নামে।
এক মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি দোকানের ভেতর নির্যাতনের শিকার ভারসাম্যহীন ওই নারী ও অভিযুক্ত খালেক মিয়াকে একই রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ভিডিওতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন খালেক। সেখানে থাকা এক ব্যক্তিতে বলতে শোনা যায়, ধর্ষণের সময় ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেছেন তিনি।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আদিল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।