গত তিন মৌসুমে তিনটি ফেডারেশন কাপ এবং একটি করে লিগ ও স্বাধীনতা কাপের আসর বসলেও আবাহনীর ঘরে গেছে মাত্র একটি ট্রফি। ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর ফেডারেশন কাপের ঘটনাবহুল ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে সর্বশেষ ট্রফি জিতেছিল আবাহনী।
পরের সব সাফল্যই বসুন্ধরা কিংসের। দুটি ফেডারেশন কাপ, একটি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি স্বাধীনতা কাপ জিতেছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন পরাশক্তি বসুন্ধরা কিংস। নতুন দলটির সাফল্যে ম্লান হচ্ছে আবাহনীর দাপট- একে একে নীল-আকাশীদের হাতছাড়া হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বাধিক ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর ঘরে এখন কোনো ট্রফি (বর্তমান) নেই। দেশের ঐতিহ্যবাহী দলটির সঙ্গে যা মোটেও মানানসই নয়। গত মৌসুমে হওয়া একমাত্র টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ থেকে বাদ পড়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে, এবার বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে।
মোহামেডান সমর্থকরা বুকে পাথর বেঁধেছে আগেই। ক্লাবটি ফুটবলে আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়ে না অনেক মৌসুম ধরে। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা না পাওয়াটাও কোনোভাবেই যায় না সাদা-কালোদের সাথে। সেই দিক দিয়ে উচ্ছ্বাসেই ছিলো আবাহনী সমর্থকরা। ১১ বার প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে, ৬ বারই চ্যাম্পিয়ন তারা।
কিন্তু সেই আবাহনী ধীরেধীরে ধূসর হচ্ছে। একটি করে টুর্নামেন্ট যাচ্ছে আর দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে নীল-আকাশী সমর্থকদের। ফেডারেশন কাপের ব্যর্থতার পর এবার দলটি শুরু করবে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি ধরে রাখার মিশন। বৃহস্পতিবার তারা মাঠে নামছে লিগ লড়াইয়ে। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব।
গত বছর পরিত্যক্ত মৌসুমে ৬ ম্যাচ খেলেছিল আবাহনী। যার মধ্যে চারটিতে জিতে এবং একটি করে ড্র ও হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে যৌথভাবে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিল তারা। একমাত্র ম্যাচ তারা হেরেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। ড্র করেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে এবং জিতেছিল বাংলাদেশ পুলিশ, রহমতগঞ্জ, মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে।
ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। হাত থেকে ছুটে যাওয়া ট্রফিগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। ফেডারেশন কাপে পারেনি। এখন লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ তাদের। সেই মিশন দলটি শুরু করছে বৃহস্পতিবার। দেখা যায় সূচনাটা কেমন হয় তাদের।