কেফায়েত উল্লাহ,নিজস্ব প্রতিবেদক::লালমনিরহাটে গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় জড়িত স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ( ৫৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমনিরহাট শহরে জজ কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ. কে. এম ফজলুল হক।
নিহত হাসিনা বেগম (৪৪) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ দরিবাস এলাকার মৃত. কাশেম আলী ও মৃত.আছিমা বেগমের মেয়ে। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দীঘলটারী কুটিরচর এলাকবার বাসিন্দা ভ্যান চালক আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের স্থানীয় কৃষক শফিকুল ইসলামের ভূট্টাখেত থেকে হাসিনা বেগমের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসিনার স্বামী আশরাফুলের বাড়ি দীঘলটারি কুটিরচরে অভিযান চালিয়ে আশরাফুলের ঘর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, রক্তমাখা কাপড় ও ভ্যান জব্দ করে পুলিশ। তবে,আশরাফুল বাড়ি হতে লাপাত্তা থাকায় আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ভূট্টাখেতের মালিক শফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতদের আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত হাসিনার সতীন মেহেরুন বেগমের দেওয়া তথ্যে পুলিশ গেল শনিবার বিকেলে আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে দূর্গাপুর সীমান্ত এলাকায় তামাকখেত থেকে হাসিনার মাথা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার বিকালে নিহতের সতীন মেহেরুন বেগমকে (৫৪) বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ. কে. এম ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুনি স্বামী আশরাফুল ইসলামকে জজ কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে জবাই করে হত্যার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যাবে কেন তিনি তার স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।