জাভেদ হোসেন,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার শিমুলবাড়ী জ্ঞানের ভুবন মডেল মাদ্রাসায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মাদ্রাসায় হামলা-ভাংচুরের ভিডিও ফুটেজ”সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে।
এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদ্রাসার পরিচালক মো. রেজাউল করিম ওই ঘটনার জন্য ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, তার অভিযোগ পুলিশ সেটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে জানান যে, পুলিশ তার অভিযোগের যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না, যা একজন শিক্ষক হিসেবে তাকে চরম উদ্বিগ্ন করেছে।
তার আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, রড, সাবল, ছোরা ও দা নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা মাদ্রাসার তিন তলা ভবন ও নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সিসি ক্যামেরা, জানালার থাই গ্লাস, প্রবেশ গেট, চেয়ার-টেবিল, আলমারি সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে, যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া, অফিস কক্ষের আলমারিতে রাখা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি কম্পিউটার পিসি (মূল্য ৩৫ হাজার টাকা) চুরির অভিযোগও করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, হামলার সময় মাদ্রাসার পরিচালক রেজাউল করিম বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে রক্ষা করলেও হামলাকারীরা পালানোর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে যায়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাদশা আলম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি দেখছি। তবে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য উৎসাহিত করছি। মামলা না করেই বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা আমাদের অগ্রাধিকার, যাতে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়। যদি সমঝোতা সম্ভব না হয়, তাহলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বিবেচনা করা হবে।