ঢাকাবুধবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ফুলবাড়ি উপেনচৌকি এলাকার সোহেল রানা (২৪) নামের এক যুবক। ৪ লাখ টাকা দিয়ে লিবিয়া গিয়ে প্রতারণার শিকার হন তিনি। এ বিষয়ে গত ৬ জানুয়ারি তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

প্রতারণার শিকার সোহেল রানা কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ফুলবাড়ি উপেনচৌকি এলাকার মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আদম ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার লাইসেন্স বা সরকারি অনুমোদন নেই। এর পরও বিদেশে লোক পাঠিয়ে তারা দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা করে আসছেন। ওই ৪ জন আদম ব্যবসায়ীরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ফুলবাড়ি উপেনচৌকি এলাকার মৃত মজিবর রহমানে ছেলে মোঃ শফিউর রহমান (৩৮), শাহাজাহান মিয়া (৩২) ও মোঃ সুমন মিয়া (২৮)। আহম্মদ আলীর ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (৪৬)। গত কয়েক বছরে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন কয়েকটি পরিবার বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগি সোহেল রানা।

প্রতারণার শিকার সোহেল রানা জানান, ২ নং অভিযুক্ত মোঃ সুমন মিয়া লিবিয়া দেশে থাকে। ১, ৩ ও ৪ নং অভিযুক্তদের সাথে মোঃ সুমন মিয়ার ভালো সম্পর্ক থাকায় তারা আমাকে অল্প খরচে লিবিয়া পাঠিয়ে ভাল বেতনের চাকরির লোভ দেখায়। সে হিসেবে তাদের সঙ্গে আমার ৪ লাখ টাকা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আমার বাড়িতে তাদেরকে ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। ভিসা পাওয়ার পর বুঝতে পারলাম আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমাকে কাজের ভিসা প্রদান করার কথা থাকলেও তারা আমাকে ৩০ দিনের টুরিস্ট ভিসাসহ পাসপোর্ট প্রদান করে। উক্ত ভিসা সম্পর্কে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান লিবিয়া যাওয়ার পর আমাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করবে। আমি সরল বিশ্বাসে তাদের কথা মতো লিবিয়া দেশে পাড়ি জমাই। লিবিয়া দেশে পৌছার পর আমার কর্মসংস্থান না হলে আমি বিপাকে পড়ি এবং ২ অভিযুক্ত সুমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে চাকরি নিয়ে দিবে বলে অজ্ঞাত একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে সুমন মিয়া আমাকে ইতালি দেশে নিয়ে গিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিবে বলে বেকায়দায় ফেলে ১ নং অভিযুক্ত মোঃ শফিউর রহমানের দুটি ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করতে বলে। পরে আমার পরিবার নিরুপায় হয়ে তাকে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করে। সর্বমোট উক্ত আসামিগণ আমার পরিবারের নিকট হতে ১৯ লাখ টাকা গ্রহণ করে। তারপরেও আমাকে কাজের ব্যবস্থা করে না দিলে আমার পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে আমাকে দেশে আনার জন্য অনুরোধ করলে সেই সুযোগে ১, ৩ ও ৪ নং অভিযুক্তরা আমার পরিবারের নিকট ৩ শত টাকার ননজুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়। এরপর আমি অতি কষ্টে বাংলাদেশে ফিরে আসি।

সোহেল রানা আরো জানান, আমি বাড়ি আসার পর রাজারহাট বাজারে ১ নং অভিযুক্ত মোঃ শফিউর রহমান ও ৪ নং অভিযুক্ত মোঃ শাহাজাহান মিয়ার সাথে দেখা করে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরত দিবে না বলে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে আমাকে চড়-থাপ্পর ও কিল ঘুষি মারে। তিনি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, প্রতারণার শিকার হয়ে আজ আমি নিঃস্ব। আমি অভিযুক্তদের বিচার ও টাকা ফেরত চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় এই প্রতিবেদক।

এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন