গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা শহরের দক্ষিণ বানিয়ারজান এলাকার গৃহবধূ লাকী বেগম আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা তার শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। ঘটনায় থানায় এজাহার দেওয়া হলেও এখনো তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। ফলে লাকী বেগম ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী লাকী বেগম প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লাকী বেগম জানান, তার ছেলে ফয়সাল লেলিন বর্তমানে অপহরণের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) ছেলের জামিনের জন্য তিনি গাইবান্ধা কোর্টে গেলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে মূল ফটকের কাছে তার ছেলের শ্বশুর আশরাফুল আলম বাদশার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লাকী বেগমের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তার বড় বোন রিতা বেগম ও নাতি শাকিল শেখকেও মারধর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত লাকী বেগমের মা আনোয়ারা বেগম, বড় বোন রিতা বেগম, নাতি শাকিল শেখ ও ভাতিজা মুনতাসির জিম জানান, ঘটনার পর গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার দেওয়া হলেও তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। বরং অভিযুক্তরা তাদের ওপর ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
লাকী বেগম প্রশাসনের প্রতি দ্রুত মামলা গ্রহণ ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুর ইসলাম বলেন, “অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে গাইবান্ধার সাধারণ মানুষ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।।