রাসেল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর রাতেই অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস ও লাইভে বক্তব্য দেন। যা ফেসবুকে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
পদত্যাগকারীরা হলেন- জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সুমন, তানভীরুল ইসলাম, সায়েম আদনান অরকু, জোনায়েদ হোসেন আবির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাহমুদুল হাসান আবীর, হাসান আল মোহসিন, রবিউল ইসলাম রানা, রুবায়েদ খন্দকার প্রান্তসহ প্রায় ১৮/২০ জনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে পদত্যাগের এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তাঁদের অনেকেই দাবি, যাঁরা আন্দোলনে কোনো ভূমিকা রাখেননি তাঁদের তদবিরের মাধ্যমে নেতা বানানো হয়েছে। অপর দিকে, অনেকেই আন্দোলনের শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেও কোনো সম্মানজনক পদ পাননি। বৈষম্যবিরোধী কমিটিতেও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগের স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সুমন বলেন, যে কমিটিতে ত্যাগীদের নাম নেই। সেই কমিটিতে নিজের নাম দেখতে চাই না। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।
আরেক যুগ্ম সদস্য সচিব তানভীরুল ইসলাম বলেন, অগণিত সহযোদ্ধাদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়নি, অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। সে কমিটিতে থাকতে চাই না। তাই পদত্যাগ করেছি। স্বদেশ প্রেমে পদ পদবির প্রয়োজন হয় না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাটের সদস্য সচিব হামিদুর রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদসংখ্যা কম এবং তা সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ করে গেছেন। তাঁরা যাকে যেখানে উপযুক্ত মনে করেছেন, তাকে সেই পদ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো তালিকা কেন্দ্রে পাঠাইনি। লিখিত কোনো পদত্যাগপত্র না দিলেও নিজ নিজ ফেসবুকে প্রায় ১৮/২০ জন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জেনেছি। বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করা হয়েছে। ১১০ জনের কমিটিতে ১৮/২০ জনের অনুপস্থিতিতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।