(বীরভূম)
মুহাম্মদ আমির হোসেন
হৃতশক্তি হেসে বলে উদ্বেল গ্রীবায় তুলো মুখ-
সাহসিক বদান্যতা অমর দ্রোহীতার চিবুক,
সত্যান্বেষী ভবলোক বিধাতার উচ্ছ্বাস বিন্যাস
অসুর করবে বধ অদম্য সাহসের বিলাস।
চিন্তাগুলো নিরুদ্দেশ যদি হয় এমন কাহন
নারীর আঁচল তলে যদি থাকো শয্যায় তখন,
মায়াবল ছিন্ন করে চির অমৃত সুধার সুরা
পান করো, পুষ্ট হও, চিরায়ত হাস্যোজ্বল ধরা।
গোমরাহী অক্টোপাস সমাজের বিচিত্র অনল
বিবেকের শূন্যতায় আড়ম্বর করেছে দখল,
নির্বেদ নিশ্চিন্ত হয়ে লিপ্ত শক্ত বাঁধনের গেরো
আপদ বিপদসীমা সাইরেন দিয়ে যাবে আরো।
লালসার তন্তুজাল ছিঁড়ে ফেলো প্রশান্তি পিয়াসা
মাড়িয়ে এগিয়ে যাও কেটে যাবে সহসা ধোঁয়াশা,
কেঁপে ওঠো বীরভূম দম্ভোক্তি শৌর্যের পদভারে
অবিচার দূর হবে রিক্ত নিয়ত আনত শিরে।
রক্তের স্রোতের সাথে ধুয়ে যাক ঘৃণিত পাপাণু
শৌর্যবীর্য রূপায়নে সুঠাম গৌরবে গড়ো তনু
সৃষ্টির অপূর্ব রূপ ছেয়ে যাক জীর্ণ জটাশনে
ভালোবাসা ভালোবাসা ছুঁয়েছে হৃদয় আনমনে।