আশরাফুল হক, লালমনিরহাট::বাল্যবিয়ে মুক্ত লালমনিরহাটে বাল্যবিয়ের হার ৫২.৬ শতাংশ। যা অত্যান্ত উদ্বেগজনক। বিবাহ রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শতভাগ অনলাইন সিস্টেমে চালুর সুপারীশ বক্তাদের। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাল্যবিয়ের পরিণতি ও করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ব্যবস্থপনায় সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এর সহযোগিতায় জননী প্রজেক্টের আয়োজনে এ আলোচনা সভায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তার আলোচনা করা হয়। ২০১৭ সালে লালমনিরহাট জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়। অথচ সেই জেলায় বর্তমানে বাল্যবিয়ের হার ৫২.৬ শতাংশ। যা উদ্বেগজনক বলে দাবি করেছেন আলোচকরা। বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে এ হার তুলে ধরে জননী প্রজেক্ট। তাই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।বাল্যবিয়ে রোধে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা নিশ্চিত করন, বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন শতভাগ ডিজিটালেশন করা, নির্ধারীত। অফিস কক্ষে বিবাহ রেজিস্ট্রি করন ও নিকাহ রেজিস্টারদের একাধিক পেশায় আন্তনিয়োগ ঠেকানোর উপর জোর দেন আলোচকরা। কারন হিসেবে বক্তরা বলেন, নিকাহ রেজিস্টারদের অধিকাংশ একাধিক পেশায় জড়িত এবং পারিশ্রমিক ভোগ করছেন। যার বেশির ভাগ স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক কর্মচারী। ফলে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হলেও বিবাহ নিবন্ধনে অন্যের সহায়তা গ্রহন করেন। এ ক্ষেত্রে এসব নিকাহ রেজিস্টার সহকারী বা পরিবারের স্বজনদের দিয়ে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করছেন। ফলে সহকারী বা স্বজনরা দায়বদ্ধতার তোয়াক্কা না করে দেদারছে বাল্যবিয়ে নিবন্ধন করে যাচ্ছেন নিকাহ রেজিস্ট্রাররা।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে মাতৃমৃত্যুর হার ও অপুষ্টির হার বেড়ে যাবে বলেও শ্বঙ্কা করছেন আলোচকরা। এ কারনে জনসচেতনতার পাশাপাশি বিবাহ তালাক নিবন্ধনে শতভাগ ডিজিটাইলেশন করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর ই আলম সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, সমবায় অফিসার ফজলে এলাহী, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মফিজুল ইসলাম, আরডিআরএস এর জননী প্রজেক্টের জেলা সমন্বয়ক মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম ও মনিটরিং অফিসার রাসেল আহমেদ প্রমুখ।