ধানমন্ডিতে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শনিবার (৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে এ দাবিতে তারা মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর তারা রবীন্দ্র সরোবরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকের’ বিচার চাই, ধর্ষকদের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ধর্ষকদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্ষণের বিচার দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনকারীরা রবীন্দ্র সরোবরে এসে ‘ধর্ষকের’ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এরপর মোমবাতি প্রজ্বলন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। রাত ৮টার দিকে তারা কর্মসূচি সমাপ্ত করে ফিরে যান।
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ইসবা আহসান খান বলে, আপু আমার স্কুলের সিনিয়র ছিলেন। আজ আমার আপু রেপ হয়েছে, কাল আমি হতে পারি। যাতে কেউ এ ধরনের ঘটনার শিকার না হয় সেজন্য পড়ালেখা ছেড়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত ‘ধর্ষকের’ বিচার না হবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী নিহা বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আমি আন্দোলনের কথা জানতে পেরে যোগ দিয়েছি। দেশের সব মেয়ে আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। মেয়েদের অধিকার আদায়ে ও ‘ধর্ষকের’ বিচারের দাবিতে আমাদের এ আন্দোলন। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমি যোগ দিয়েছি।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ম্যাপল লিফের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শ্রাবণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের’ বিচারের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। আমরা ‘ধর্ষকের’ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। ‘ধর্ষকের’ বয়স কমিয়ে এ মামলাটিকে অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটি আমরা মেনে নেব না। ‘ধর্ষকের’ বিচার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনে যোগ দেয়া মাস্টারমাইন্ড স্কুলের অভিভাবক ফোরামের প্রতিনিধি মো. আমানুল আবেদিন দিনা বলেন, ‘ছাত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে তার সহপাঠীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। তাদের নিরাপত্তায় অভিভাবকরা যুক্ত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে ‘ধর্ষকের’ বিচার ও ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।