ঢাকাবুধবার , ২১ আগস্ট ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উপপরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ/ কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে “জানিনা” মর্মে নেয়া হচ্ছে স্বাক্ষর, দ্রুত তদন্তের দাবি

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ২১, ২০২৪ ৪:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক প্রসেনজিৎ প্রণয় মিশ্রের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে “কিছু জানিনা বা সংশ্লিষ্টতা নেই” মর্মে ভয় দেখিয়ে কর্মচারীদের থেকে স্বাক্ষর  নিয়েছেন সেই অভিযুক্ত উপপরিচালক প্রসেনজিৎ প্রণয় মিশ্র।

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে নিজেকে নির্দোশ ও অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে এসব স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন: https: উপ-পরিচালকের-অত্যাচার-একের পর এক কর্মচারীর বদলীর আবেদন

অন্যদিকে কর্মচারীদের থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগের বিষয়গুলো দ্রুতই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এরআগে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশ সহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত (১৯ আগস্ট) জেলা অফিসের কর্মচারীদের থেকে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যসহ স্বাক্ষর নেন অভিযুক্ত উপপরিচালক প্রসেনজিৎ প্রণয় মিশ্র। বল প্রয়োগ করে তার এই স্বাক্ষর গ্রহণ কাজে সহযোগিতা করেন আরেক অভিযুক্ত সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহাবুবা খাতুন।

এরআগে, গত ৮ আগস্ট জেলার ৩০ জন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক প্রসেনজিৎ প্রণয় মিশ্রের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার, সামান্যতেই কৈফিয়ত তলব করে হয়রানি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং চাকরিবিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উপপরিচালকের স্বেচ্ছাচারীতা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সামান্যতেই কর্মচারীতের কৈফিয়ত তলব করাসহ বদলি ও বেতন/ভাতা বন্ধের ভয়ভীতি, দায়িত্বপালনে অনিহা, জেলা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি, বিভিন্ন ভূয়া ভাউচারে বিল উত্তোলন, বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কর্মচারীদের গালিগালাজসহ তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে একের পর কর্মচারী বদলির আবেদন করছেন সহ প্রশ্ন তোলা তোলা হয় উপপরিচালকের চরিত্র নিয়েও।

সূত্র জানায়, অভিযোগের বিষয়গগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পরদিন অফিসের সকলের কাছেই “অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানিনা বা সংশ্লিষ্টতা নেই” মর্মে আলাদা আলাদাভাবে স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর চান উপপরিচালক প্রণয় মিশ্র। এসময় “যদি কেউ এটাতে রাজি না হবে তাহলে ধরে নেওয়া হবে সেই ব্যক্তি এসবের সাথে জড়িত আছে” বলে কর্মচারীদের কৌশলে বল প্রয়োগ ও ভয় দেখানো হয়। পরে বেশিরভাগ কর্মচারীই স্বাক্ষর দেন।

জেলা কার্যালয়ের কনিষ্ট পরিসংখ্যান সহকারী সোহেলী নাজনিন বলেন, ডিডি স্যার সকলের কাছে কিছু জানিনা বা সংশ্লিষ্টতা নেই মর্মে স্বাক্ষর চেয়েছেন। অনেকেই স্বাক্ষর করেছেন। আমিও স্বাক্ষর করেছি। এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,” জোর করা হয়নি, তবে তিনি (উপপরিচালক) বলেছেন, যদি কেউ স্বাক্ষর না দেয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে সেই ব্যক্তি এসবের সাথে জড়িত রয়েছে”। তিনি আরও বলেন” অভিযোগের বেশকিছু বিষয়ই সত্য। কেননা, আমার স্বামী স্যারের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেনি বা স্যারকে হুমকি দেয়নি। অথচ আমাকে দুইবার মিথ্যাভাবে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

একই কার্যালয়ের  অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আসুতোষ চন্দ্র মোদক বলেন, অনেকেই স্বাক্ষর করেছেন। যেহেতু আমি বদলির জন্য আবেদন করেছি এটি সত্য। আমি কোনো মন্তব্য বা স্বাক্ষর দেইনি। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে আসুতোষের।

অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর থাকা সদ্য বদলি হওয়া জেলা অফিসের ষাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আল আমিন বলেন, “অভিযোগকালীন সময়ে আমি জেলা অফিসে ছিলাম। ডিডি স্যারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি এখন লালমনিরহাট জেলা অফিসে আছি। তিনি বলেন, যেহেতু অভিযোগ হয়েছে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দ্রুত তদন্ত হলে সব কিছুর সমাধান হবে।

এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, উপপরিচালক কর্মচারীদের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণ করতে এই স্বাক্ষর নেওয়ার খেলায় নেমেছেন। আমরা ছোট কর্মচারী, কর্মচারীদের বল প্রয়োগ করে যতই স্বাক্ষর নেওয়া হোক তদন্ত হলে বিষয়গুলো সত্য প্রমাণিত হবে। এসময় তিনি অভিযোগটির দ্রুত তদন্তের দাবি করেন।

কর্মচারীদের স্বাক্ষর গ্রহণের কাজে উপপরিচালককে সহযোগিতা করা সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহাবুবা খাতুন মুঠোফোনে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, “আমি ওইদিন আমার ব্যক্তিগত কাজে জেলা অফিসে গিয়েছিলাম। স্বাক্ষর নেওয়ার ব্যাপারে যাইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন