স্টাফ রিপোর্টার:: স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন থেকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ না, জামায়াত-বিএনপি সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এরপরে যারা দেশ পরিচালনায় আসবেন তারা যেনো জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়। একই রাস্তায় যেন তারা না চলেন। এখান থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেয়া উচিৎ। মানুষের সঙ্গে জুলুম করলে কী পরিণতি হয় সেটা সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের শিক্ষা নিতে হবে যাতে একই গর্তে জাতি না পড়ে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসেছি। সবাইকে দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ সবাইকে দেখতে গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
আহত এক আন্দোলনকারীকে পাশে নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমার পাশে একজন ভাই আছেন। গুলিতে হাত দুটোই ভেঙে গেছে। কত সময় লাগবে সুস্থ হতে তা আল্লাহ ভালো জানেন। আমরা আশা করি তার হাত টিকবে।
তিনি আহতদের অবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা দেখেছি অনেকজনের পা একেবারে ফেলে দিতে হয়েছে। তারা আর পা ফিরে পাবেন না। তারা একটা হাত বা পা নিয়ে দুনিয়াতে হয়তো বাঁচবে। কিন্তু যারা দুনিয়া থেকে চলে গেছে তাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করি তিনি যাতে তাদের শহীদের মর্যাদা দান করেন। তাদের পরিবারে যাতে আল্লাহ প্রশান্তির হাত বাড়িয়ে দেন। আর আহত যারা আছেন তাদের দ্রুত সুস্থতার নেয়ামত দান করেন।
তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে জিজ্ঞেস করলাম তাদের অনুভূতি কেমন। তারা সবাই জানিয়েছেন তারা খুশি, আনন্দভোগ করছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। জাতির মুক্তির জন্য আল্লাহ আমাদের লড়াই করার শক্তি দিয়েছিলেন।
একজনকে জিজ্ঞেস করলাম এক পা চলে গেছে, জাতির যদি আবার প্রয়োজন হয় তখন কী করবেন। বলেছেন, প্রয়োজনে আরেক পা দেব। এরপরও যদি দরকার হয় নিজের জীবন দেব। মানুষ যখন জাতির জন্য এভাবে দাঁড়িয়ে যায় তখন সে জাতিকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না এবং পারবেওনা ইনশাল্লাহ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, নার্স ও আয়া সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ তাদের মর্যাদাও বাড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, আহতদের জিজ্ঞেস করেছিলাম তাদের চিকিৎসায় আপনারা সন্তুষ্ট কি-না। তারা বলেছেন- তারা সন্তুষ্ট আছেন।