রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার ৭টি থানাসহ জেলার সব পুলিশি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১২ আগস্ট) গাইবান্ধা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানান পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
জানা গেছে,সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাইবান্ধার এক পুলিশ সদস্য বলছেন, স্থাপনার ক্ষত না হয় সারানো যাবে, বিকল্প স্থাপনায় কাজ শুরু করা যাবে। কিন্তু সাধারণ পুলিশ সদস্যের মনে যে ট্রমা তৈরি হয়েছে, হৃদয়ে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা কতদিনে কাটবে সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এদিকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে গত কয়েকদিন থেকে জেলায় পুলিশি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছিল। তবে এর মধ্যে তারা কিছু কিছু কার্যক্রম চালিয়েছেন। তবে আজ থেকে পুরোদমে জেলার সব পুলিশি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যদের সাধারণ জনতা গণশুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ফুলছড়ি থানায় কর্মরত পুলিশের সব সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রাশেদুল ইসলাম রাশেদ/আরইসআর