স্টাফ রিপোর্টার:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো জয়ী হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে এক বছরও থাকার সৌভাগ্য হলো না এই নায়কের। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির জেরে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এদিকে দলের প্রধানের দেশত্যাগের খবরের পর সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপিরাও দেশ ছাড়েন। তার একদিন পরই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। এরপরই প্রশ্ন ওঠে মন্ত্রীসভার যারা দেশে রয়ে গেছেন, তারা এখন কে কোথায় রয়েছেন? বিশেষ করে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এই তারকা কি দেশ ছেড়েছেন, নাকি দেশেই কোথাও গা ঢাকা দিয়েছেন?
সর্বশেষ গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় ফেরদৌসকে। একটি সূত্রে জানা যায়, রোববার (৪ আগস্ট) রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন তিনি।
তবে তার পরদিন মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) থেকে ফেরদৌসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নায়কের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ৪ আগস্টের পর কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার করতে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে ফেরদৌস দেশ ছেড়েছেন। যদিও নায়কের দেশ ছাড়ার খবরের এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পিএস-এর নাম্বারও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে চিত্রনায়ক রিয়াজকে ফেরত পাঠায় ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বেশ কয়েকজনের তালিকা চেক-ইন এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দেওয়া রয়েছে। পাশাপাশি প্লেনে যাত্রী ওঠা ও ফ্লাইট উড্ডয়নের ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চূড়ান্ত ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। রিয়াজ বিকেলে বিমানবন্দরে আসেন। সম্ভবত তালিকায় নাম থাকার কারণে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রিয়াজের আওয়ামী লীগে কোনো পদ না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীমনা শিল্পীদের অনুষ্ঠানে তাকে সরব ভূমিকায় দেখা যায়।