খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট।। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে গোয়াল ঘরে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।আর এ আগুনে গোয়াল ঘর সহ ৩টি ষাঁড় গরু পুড়ে ছাই হয়ে মারা যায়।
জানা যায়,গরুগুলোকে নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছিল দিনমজুর জালাল উদ্দীন।
সারাদিন অপরের বাড়িতে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরার পর বাকি সময় গরু তিনটির যত্ন-পরিচর্যায় ব্যয় থাকতো দিনমজুর জালাল উদ্দীন।
জালাল উদ্দীনের স্বপ্ন ছিল সামনের কোরবানির ঈদে মোটা অঙ্কের টাকায় গরুগুলো বিক্রি করবেন তিনি।
কিন্তু,ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পূরণ হলো না,সে স্বপ্ন।
রাতে গোয়াল ঘরে লাগা আগুনে পুড়ে তিনটি গরুই ভস্মীভূত হয়ে যায়।অতিকষ্টের মাঝে ও সন্তানের মত লালন-পালন করা গরু তিনটি হারিয়ে এখন পাগল প্রায় জালাল উদ্দীন।
বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত রাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের গোপালরায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই জালাল উদ্দীনের গরু থাকার গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যেই তা সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ সময়ে জালালের বাড়িতে থাকা লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে, ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে,এরই মধ্যেই গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি ষাঁড় পুড়ে মারা যায়। সেই সাথে অন্যান্য জিনিষপত্র ও পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
দিনমজুর জালাল উদ্দীন জানান, রাতে হঠাৎ করে গরুর ডাক শুনে আমরা গরুর গোয়ালে যাই। দেখি, গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে,এরই মধ্যে গোয়ালে তিনটি ষাঁড় গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ অগ্নিকান্ডে,প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী দিনমজুর জালাল উদ্দীনের পরিবার।
কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহির তাহু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।