রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়িতে উদযাপন করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই দুই উপজেলার দুটি গ্রামের শতাধিক মানুষ এই ঈদ পালন করছেন।
রোববার (১৬ জুন) সকাল পৌনে ৯টায় সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক জামালপুর গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় ওই এলাকার শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-যুবকসহ শতাধিক মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভ্যান-রিক্সা ও মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত ও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন (কোলাকুলি) করেন মুসল্লিরা। নামাজের পর কোরবানির প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের।
ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, তারা গত কয়েক বছর থেকেই ওই গ্রামে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার দুই ঈদ পালন করে আসছেন। তারা সবাই একই সঙ্গে সমাজের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আবু হানিফ বলেন, এখন নামাজ শেষ হলো। এরপরে আমরা পশু কোরবানি করব। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের আনন্দের কোনো কমতি নেই। আমরা পরিবারের সকলে মিলে নতুন জামা-কাপড় পরে আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। আজ ঈদ উদযাপনে আমাদের মানসিক তৃপ্তি রয়েছে।
নামাজ শেষে ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চাঁদ দেখার ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি, যা কুরআন ও সহীহ্ হাদিস সম্মত। এসময় বিশ্বের সকল মুসলিমদেরকে ঐক্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আগামীতে মধ্যেপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখেই সকল মুসলিম একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন বলে প্রত্যাশা রাখেন তিনি।
এ ব্যাপারে ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মাফু মোবাইল ফোনে বলেন, ওই গ্রামের মুসল্লিরা গত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন। আজও সেই ধারাবাহিকতায় তারা সকালে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাতে নামাজের আয়োজন করেন এবং সকাল পৌনে ৯টার দিকে নামাজ আদায় করেন। নামাজে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।