মনজু হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ে ইবতেদায়ী প্রধান ও কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার আগে প্রার্থী চুরান্তের অভিযোগ উঠেছে বোদা উপজেলার সাকোয়া জামিলাতুন নেছা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে।এতে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রার্থী চূড়ান্তের পরই নেওয়া হবে নিয়োগ পরীক্ষা।তারা বলছেন,ইবতেদায়ী প্রধান পদে অধ্যক্ষের স্ত্রী মোছা.ফরিদা বেগম,কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে সৌরভ,অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মোছা. ইভানা ও গবেষণা ল্যাব সহকারী পদে মো. হামিমের নাম চুরান্ত করা হয়েছে।নিয়মমানার জন্য শুধু নামেমাত্র পরীক্ষা নেয়া হবে।মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের নাম চুরান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বাবুল হোসেন জানান,অধ্যক্ষ তার স্ত্রীকে ইবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য নিজে নিয়োগ কমিটিতে নাই।নিজে কমিটিতে থেকে নিয়োগ দিলে নিয়ম বহির্ভূত হবে এজন্য। বাকী আরো তিনটি পদের নিয়োগ কমিটিতে সদস্য সচিব রয়েছেন অধ্যক্ষ।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়,ইবতেদায়ী প্রধান,কম্পিউটার ল্যাব সহকারি, কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী ও গবেষনা ল্যাব সহকারি শূন্য পদের জন্য চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। শুক্রবার (৭ জুন( পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মফিজ উদ্দিন বলেন,নিয়োগের সকল নিয়ম মেনেই পরীক্ষার জন্য ইবতেদায়ী প্রধানসহ চার পদে প্রার্থীদের শুক্রবারে ডাকা হয়েছে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ জানান, ইবতেদায়ী প্রধান পদে লোক পাওয়া যায় না, তাই হয়তো। অন্যান্য পদের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন পরীক্ষা না ও হতে পারে।এখনই কিছু বলা যাবে না।