ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইবান্ধায় দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গচুর!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মে ১৯, ২০২৪ ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর জামান রিংকুর নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একই সাথে তার কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কোথাও দোয়াত-কলম প্রতীকের কোন নির্বাচনী অফিস কিংবা কোন ব্যক্তি ওই প্রতীকের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালালে কিংবা ভোট চাইলে তাকে বা তাদেরকে গ্রাম ছাড়াসহ খুন-জখম, বাড়ী-ঘর ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, এবং পরিবার-পরিজনদের হেনস্তা করার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

এসব ঘটনা তুলে ধরে শনিবার (১৮ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে ওই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে মিলন মিয়া (২৮) ও মুরাদ মিয়ার নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে ওই দিন রাতেই গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু। এর আগে একইদিন রাত ১ টার দিকে উপজেলার বল্লমঝার ইউনিয়নের উত্তর ধানঘড়া গ্রামের চার মাথা মোড়ের দোয়াত-কলম প্রতীকের অস্থায়ীভাবে নির্বাচনী কার্যালয়ে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা সকলেই একই নির্বাচনের সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইস্তিকুর রহমানের কর্মী-সমর্থক বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইংরেজি ১৮ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর ধানঘড়া চারমাথা মোড়ে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে সমর্থনকারী আইনুল মিয়া, ছকু মিয়া, সাজু মিয়া, ছনো মিয়াসহ অন্যারা ২১ তারিখের ভোটকেন্দ্রের জন্য এজেন্ট হতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের আইডি কার্ড যাচাই-বাছাই করছিল। এসময় অভিযুক্ত নামীয় দুইজনসহ ১’শ থেকে দেড়’শ অজ্ঞাতনামারা পূর্ব পরিকল্পনতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অফিসে এসে ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি করে এবং চারমাথা মোড়ের দোয়াত-কলম প্রতীকের একই নির্বাচনী অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে। একই সময় মিলন মিয়া এবং তাজুল ইসলাম নামের অপর এক কর্মী নিজেদের কাপ-পিরিচ প্রতীকের কর্মী বলে পরিচয় দেয় এবং দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর জামানকে সহ তার সকল সমর্থকদের উদ্দেশ্য বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। 

এসময় ওই নির্বাচনী অফিসে অবস্থানরত দোয়াত-কলম প্রতীকের সমর্থনকারী আইনুল মিয়া, ছকু মিয়া, সাজু মিয়া, ছনো ও ছনো মিয়াসহ অভিযুক্তদের ওইসব অন্যায় আচরণেরর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত মিলন মিয়া তাহার হাতে থাকা ছোরা বের করে আঘাত করার চেষ্টা করলে দোয়াত কলমের সমর্থকরা পালানোর চেষ্টা করে। তবে, অন্যারা পালিয়ে গেলেও আইনুল মিয়া, ছকু মিয়া, সাজু মিয়া, ছোনো মিয়ারা মারধরের শিকার হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তরা তাতেও ক্ষান্ত হয়ে

দোয়াত-কলম প্রতীক দ্বিতীয় দফায় আবারো ওই অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসেই ফিরে এসে অফিসের ভিতরে থাকা চেয়ার, টেবিল ভাংচুরসহ দোয়াত-কলম প্রতীকের পোষ্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিলসহ অন্যান্য প্রচার সামগ্রী টেনে-হেঁচরে ছিঁড়ে ফেলে প্রায় ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকার ক্ষতি করে। 

শুধু তাই নয়, এসময় তারা বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোথাও দোয়াত-কলম প্রতীকের কোনও নির্বাচনী অফিস কিংবা কোনও ব্যক্তিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের পক্ষে প্রচারনা চালাতে দেখলে কিংবা ভোট প্রদান করলে তাদেরকে মারপিটসহ খুন-জখম , গ্রামছাড়া, বাড়ী-ঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পরিবার-পরিজনদের হেনস্তা করবেসহ, দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

পরে খবর পেয়ে এজাহারকারী ও নির্বাচনের দোয়াত কলমের প্রধান এজেন্ট সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয় এবং স্থানীয়দের সহায়তায় জখমীদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এছাড়াও এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা যে কোন সময় বল্লমঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে স্থাপনকৃত দোয়াত-কলম প্রতীকের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরসহ সমর্থনকারীদের মারপিটসহ খুন-জখম করার আশঙ্কা হয়েছে। ফলে এসব বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক অভিুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে।

এজাহার দায়েরের বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, গতকাল রাতেই ওই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, সদর উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে যা হয়েছে তা সবই নির্বাচণের পরিপত্র অনুযায়ী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব বিষয় রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখেন। আর এসবকে কেন্দ্র করে যদি কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স হয় তা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দেখে থাকে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদের মন্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন