পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কোন প্রকার আগাম নোটিশ ব্যতীত সরকার দলীয় কৃষকলীগের অফিস ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভাঙ্গার সময় কৃষকলীগ অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে পদদলিত করে উচ্ছেদ অভিযানে নিয়োজিত শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি )কৌশিক আহম্মেদ। এরপর উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে‘ই “সুন্দরবন ভ্রমন টিকেট ঘর” নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন হয়। ভাংচুর হওয়া বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি উচ্ছেদ স্থলের মাটিতে এখনও পরে আছে।” কুয়াকাটা পৌর শাখার কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. তুহিন দেওয়ান এমন অভিযোগ করেছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতর মূহুর্তে এমন উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। ঈদ মূহুর্তে প্রশাসনের এমন কর্মকান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে নিন্দা ক্ষোভ।
উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ-গত ০৭ এপ্রিল দুপুরে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে উচ্ছেদ অভিযান চালায় কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। এসময় সাব্বির,আমির,সোবাহান মঞ্জু শরীফ,কামাল পাটোয়ারীসহ একাধিক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পয়েন্টের ঔষুধ ব্যবসায়ী রুমি শরীফসহ ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন-কোন প্রকার নোটিশ ব্যতীত হটাৎ করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ চালানো জমির সঙ্গেই একই খতিয়ান ও দাগে প্রভাবশালীদের একাধিক স্থাপনা রয়েছে;অথচ তা ভাঙ্গছেনা। বর্তমান কলাপাড়া ইউএনও রবিউল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থাকা অবস্থায় গত ঈদের দুইদিন আগে ভাংচুর করে একাধিক পরিবারকে সর্বশান্ত করেন। গত বছরের সেই ভাঙনের খেসারত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া ঈদ মূহুর্তে সব ভেঙ্গে দেয়া হলো; সবার ঘরে ঈদ আনন্দ হবে, আর আমাদের ঘরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গার আহাজারী হবে; এমন কেমন মানবিকতা, কেমন আইন?। রুমির শরীফের মত এমন অভিযোগ একাধিক ব্যবসায়ীর।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন-অবৈধ জমিতে ঘর অথবা স্থাপনা করলে প্রশাসন নিশ্চই উচ্ছেদ করবে। কিন্তু সরকার দলীয় অফিস ভেঙ্গে সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠান বসাবে,এটা কাম্য নয়। তাছারা ঈদ মূহুর্তে এমন অভিযান অমানবিক।
উচ্ছেদ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন-পর্যটন কেন্দ্রে এটা নিয়মিত অভিযান, এ পর্যন্ত ভাসমান ও অবৈধ অন্তত ৫০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। ঈদ মূহুর্তে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন-ঈদ আনন্দ কি ব্যবসায়ীদের না পর্যটকদের? ব্যবসায়ীদের জন্য পর্যটকদের ক্ষতি হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত থাকবে; এখানে এসে পর্যটক আনন্দ-উল্লাস করবে। কৃষকলীগ অফিস ভাঙ্গা নিয়ে তিনি বলেন-ওখানে কোন কৃষকলীগ অফিস ছিলনা, কেউ দখল করছিল। সে কারনে ওই জমিতে ট্যুরিষ্ট বোর্ডের একটি অফিস করতে অনুমতি দিয়েছি।