খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর একটি তামাক ক্ষেত থেকে শিশু রোমান মিয়ার (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
লোহমর্ষক এ ঘটনার রহস্য উৎঘাটনসহ শিশু রোমান মিয়ার হত্যাকারী ঘাতক আশিকুর রহমান আশিককে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে ঘাতকের জবানবন্দিতে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমোহনী সেতু বাজার এলাকার একটি তামাক ক্ষেত থেকে শিশু রোমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশু রোমান সে ওই গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে।
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান আশিক একই এলাকার মুছা মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান আশিক সাম্প্রতিক সময় প্রতিবেশী একজনের একটি ছাগল চুরি করে যা দেখে ফেলে শিশু রোমান।
এই চুরির দায়ে স্থানীয়ভাবে বসা বৈঠকে আশিকুর রহমান আশিকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনার পর হতে শিশু রোমান দেখা হলেই আশিকুরকে ছাগল চোর বলে বিদ্রুপ করত।আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আশিকুর রহমান।
পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সেতু বাজারের পাশে রোমানকে দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে পাশের তামাক ক্ষেতে খেলাধুলা করেন আশিকুর রহমান। এর একপর্যায়ে শিশু রোমানকে গলাটিপে হত্যা করে সে।
হত্যার পরে তামাক ক্ষেতে সামান্য মাটি ও তামাক পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায় আশিকুর রহমান।
এদিকে শিশু রোমানের সন্ধান না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে তার পরিবার। অবশেষে শনিবার বিকেলে ওই তামাকের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় কৃষকরা রোমানের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই দিনই অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রোমানের পরিবার।
তথ্য প্রযুক্তিসহ নানা কৌশল অবলম্বন করে আদিতমারী থানা পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে ঘাতক আশিকুর রহমানকে সোমবার রাতে নিজ বাড়ি হতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় আশিক।