পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষনকারীদের মিথ্যে মামলায় ভিকটিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে উল্টো হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফির মামলার মোটিভ ভিন্ন দিকে ঘুরাতেই আসামীপক্ষে ভিকটিমসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছে বলে অভিযোগ ভিকটিমের।
অভিযুক্ত ওলিউল্লাহ দুমকি উপজেলার সাতানি গ্রামের বাসিন্দা শাহআলম হাওলাদারের ছেলে। জানাগেছে মৃত চাচার স্ত্রী তার চাচী ভিকটিম (৪০) কে ওলিউল্লাহ কৌশলে ফেলে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে পটুয়াখালীর একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর হুমকি দেয়। এবং ওলিউল্লাহ তার চাচীকে ভয় দেখিয়ে রাজধানীর গুলশান, পটুয়াখালী ও কুয়াকাটায় বিভিন্ন হোটেলে রেখে একাধিক বার ধর্ষন করেন বলে জানান ভিকটম (৪০)। এ ঘটনায় ভিকটিম অভিযুক্ত ওলিউল্লাহর বিরুদ্ধে দুমকি থানায় ধর্ষনের অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহন না করে কৌশলে কোর্টে পাঠায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম গত ৬ মার্চ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ও স্থানীয় সাংসদের বিশেষ তদবিরে ভিকটমের ধর্ষন মামলার মোটিভ ভিন্ন দিকে ঘুড়াতে প্রধান আসামী ওলিউল্লাহর স্ত্রী লিপি বেগম বাদি হয়ে ভিকটিমসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে দুমকি থানায় একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেছে।
ভিকটিম অভিযোগ করে বলেন, আসামী ওলিউল্লাহ ও তার সহযোগীরা এলাকার প্রভাবশালী এবং বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্যের ঘনিষ্টতার প্রভাবে তাকে (ভিকটিম) মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি দিচ্ছে। অপর দিকে মিথ্যে মামলায় পুলিশি হয়রানী করে আসছে।
এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোঃ আবদুল হান্নানের কাছে জানতে চাইলে মামলার সত্যতা স্বীকার করেন তবে মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় কোন মন্তব্য করতে অনিহা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান,কথিত চাচিকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ওলিউল্লাহ হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের তৎপরতা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।