পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ আজকের এই দিনে ভাষা শহীদদের স্মরন জানাতে কেউ ভুল করেননি। তবে সরেজমিনে পটুয়াখালী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিগন জুতা পায়ে শহীদ মিনার বেদিতে উঠে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
অথচ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের এদিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই বাংলা ভাষা। জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে শহীদদের প্রতি কেমন শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিষয়টি অনেকের নজরে আসলে ব্যাতিত হয়েছেন।এ বিষয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনার বেদিতে আসা সরকারি দপ্তরের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালীতে নব নির্মিত শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
প্রথমে পটুয়াখালী -১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পর্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুম আমিন হাওলাদার ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন সহ সকল সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি এবং জেলা আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। তবে এসনয় তারা যথাযথ মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।পরবর্তীতে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে প্রবেশ করেন অনেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।