আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:লালমনিরহাট-৩ সদর আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ২৪ পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন লালমনিরহার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ। তিনি বলেন, লালমনিরহাট সদর সংসদীয় এলাকা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দীর্ঘদিনের একটি অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা। অধিকাংশ সময়ে এই এলাকায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য থাকায় সদর উপজেলার এলাকার কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি। পক্ষান্তরে পূর্বেকার আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রীরা তাদের নিজ এলাকার বাইরে অর্থাৎ লালমনিরহাট সদর সংসদীয় এলাকায় দৃষ্টিপাত না করায় এই অঞ্চলের মানুষ উন্নয়নের ডিজিটাল উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাট সদর এলাকা স্মার্ট অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলবার মতো একটি উপযোগী অঞ্চল। একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ভারতের সঙ্গে পূর্বের ব্যবহৃত রেলপথ ও স্থলবন্দর চালু করে এই অঞ্চলের ঐশ্বর্য বিকশিত করার পদক্ষেপ ও বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণ এ পর্যন্ত কোনো এমপি বা মন্ত্রী গ্রহণ করেনি। এই অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং শ্রমজীবী মানুষের আধিক্য থাকা সত্ত্বেও কোনো এমপি বা মন্ত্রী এখানে কোনো শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘিরে একটি পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ ছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষ একটি ইকোনমিক জোন, আইসিটি ভিলেজ এবং এভিয়েশন সিটির স্বপ্ন দেখে দাবি করে এসব উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য লালমনিরহাট সদর আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাড. মতিয়ার রহমানকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, লালমনিরহাট পৌর পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি, লালমনিরহাট ঈমাম সমিতি, জেলা আইনজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আ’লীগ আইনজীবী পরিষদ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, বিভাগীয় রেল শ্রমিক লীগ, আওয়ামী ওলামা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, প্রজন্ম ৭১, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।