সাইমন হোসেন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ টি আসনেই আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের জয় হয়েছে। সারাদিন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রবিবার সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সাচ্ছন্দে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত ভোটাররা। তবে যে কোন প্রকার নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও ৩ টি আসনে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে দলীয় প্রতীকে ১০জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ৪ জন। তিনটি আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ৪১৭টি। মোট ভোটার ১১লাখ ৪২ হাজার ৯২৩ জন। পুরুষ ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ জন। নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৩ হাজার ২৮১ জন।
ঠাকুরগাঁও-১ (সদর ) আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন (নৌকা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট। তবে সারাদিন ভোট চললেও ভোটগ্রহণ শেষের আধাঘণ্টা আগে কারচুপি সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তিনি ভোট বর্জন করেন। ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি রাজিউল ইসলাম (আম) প্রতীকে পেয়েছেন ১হাজার ৯ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (মিনার) প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৬৯ ভোট আর আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) প্রতীকে তাহমিনা আক্তার মোল্লা পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৩ ভোটৌ।
ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গি -হরিপুর, রাণীশংকৈল আংশিক) আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক (নৌকা) নিয়ে মাজহারুল ইসলাম সুজন পেয়েছেন ১লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে আলী আসলাম জুয়েল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৪৫ ভোট, জাতীয় পার্টির মনোনীত (লাঙ্গল) প্রতীকে নুরুন নাহার বেগম পেয়েছেন ১হাজার ৯৮৬ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনীত (ডাব) প্রতীকে রিম্পা আক্তার পেয়েছেন ৪২৬ ভোট, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (সোফা) প্রতীকে আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৩ হাজার ২১৩ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ -রাণীশংকৈল) আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আওয়ামী লীগের জোটের হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় (হাতুড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি (ঈগল) প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮৩ ভোট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ পার্টির মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান সরকার (কুলা) প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, জেলার ৩ টি আসনেই শান্তুিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে । কোথাও কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনিনি। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ছিল কঠোর।বিজিবি, সেনাবাহিনী, আনসার ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ঠাকুরগাঁও ৩ টি আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৪১৭টি। মোট ভোটার ১১লাখ ৪২ হাজার ৯২৩ জন। পুরুষ ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ জন। নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৩ হাজার ২৮১ জন।