স্টাফ রিপোর্টার:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামীকাল রবিবার। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। তবে শেষ দিনেও সংঘাত থেমে ছিল না। খুলনায় নির্বাচনী ক্যাম্প পাহারারত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এখানেও থেমে নেই দেশের একের একের পর ভোটকেন্দ্র পুড়ছে আগুনে। ইতোমধ্যে রাজশাহীর তিন উপজেলার চারটি,ফেনী, বরগুনা, হবিগঞ্জের ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
শুরুতেই রাজশাহীর তিন উপজেলার চারটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাগমারার ভোটকেন্দ্রটি থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করেছে পুলিশ। অন্য তিনটি কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
এছাড়াও ফেনীর সোনাগাজীতে গতকাল ভোরে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী আবুল কালাম আজাদ ও দপ্তরী আবু বক্কর ছিদ্দিককে আটক করেছে।
পাশাপাশি বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী চরকগাছিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র নং-১৫৪ এবং আরপাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-১৫৬। ২টি ভোট কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সরিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় আ.লীগ নেতারা জানান, আগামীকালের জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। যাতে মানুষ ভয় পেয়ে ভোটকেন্দ্রে না আসে।