ঢাকাসোমবার , ৪ জানুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনার ধাক্কায় পথে বসছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা!!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ৪, ২০২১ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২০২০ সালে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নতুন-পুরনো সব উদ্যোক্তাই কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেকের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর যারা নতুন ব্যবসা শুরু করেছিলেন, তাদের অনেকেই দেনার দায়ে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন।

করোনাভাইরাসের জেরে সাধারণ ছুটি কিংবা জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি না থাকা, দোকানপাট বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে নতুন-পুরনো সব উদ্যোক্তাই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিধিনিষেধ শিথিল হলেও বাজার

চাহিদা আগের মতো নেই। সংকটকালীন অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন; কারও বেতন কমেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে একান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া কেউ বাড়তি কিছু কিনছেন না। এতে ২০২০ সালে বাজার সরবরাহ ব্যবস্থা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। দেশের বড় উৎসবকেন্দ্রিক পোশাক উদ্যোক্তারাও অনেকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন গত পহেলা বৈশাখ, ঈদ ও পূজায় ব্যবসা না হওয়ার কারণে।

বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহামারি করোনার ধাক্কায় ছিটকে পড়ছেন ব্যবসার মূল স্রোত থেকে। লোকসান সামাল দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসা। এজন্য শহরের মার্কেট, হাটবাজার, পাড়া-মহলস্নার অলিগলি ও ঘনবসতি এলাকার আনাচে-কানাচে দোকান ভাড়া দেওয়া হবে-এ ধরনের বিজ্ঞাপনও দেখা যায়। কিন্তু ব্যাংকের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার যোগাযোগ না থাকায় সরকারের এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা) খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও এর সুফল গিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে না বা তারা সুবিধা নিতে পারছেন না।

করোনার ধাক্কা কয়েক ধাপে এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে পথে বসিয়েছে। প্রথমত, টানা লকডাউনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে। এ সময় তাদের আয় পুরোপুরি বন্ধ ছিল। দ্বিতীয়ত, সরবরাহ চ্যানেলে বাধার কারণে অনেক ক্ষুদ্র দোকানি চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পায়নি। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। আবার লকডাউনের আগে পণ্য বিক্রি করা হলেও পাওনা আটকে যাওয়ায় ব্যবসার গতি থেমে যায়। সর্বশেষ হচ্ছে- করোনার কারণে ফ্যাশন আইটেম থেকে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে ফ্যাশনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ছোটখাটো ব্যবসায় একরকম ধস নেমেছে।

ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস ইন এশিয়ার (আইসিওএসএ) তথ্য অনুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এসএমই খাতের অবদান এক-পঞ্চমাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় অংশজুড়ে রয়েছে এসএমইর অবদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনৈতিক মন্দার আঘাত বাংলাদেশ কতটুকু সামাল দিতে পারবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করবে এসএমই খাতকে কত দ্রম্নত উত্তরণের পথে নিয়ে আসা যাবে তার ওপর।

উলেস্নখ্য, এসএমই খাতের ক্ষতি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ক্ষতি হয়েছে ৯২ হাজার কোটি টাকা। শুধু উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়মূল্য আটকে থাকায় ৪১ শতাংশের বেশি এসএমই প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আর, কোনোমতে টিকে আছেন ৪৮ শতাংশ উদ্যোক্তা। চলতি বছরে এসএমই খাতে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমতে পারে বলে আগাম আভাস দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির রিপোর্টে। সরকারের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের (এসএমই) জন্য বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে জানেই না অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

জানা গেছে, সারাদেশে ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন