ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাঁপছে পঞ্চগড় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত হয়ে উঠে বরফের রাত

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ ১:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত হয়ে উঠে বরফের রাত। রাতভর হিমেল ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড় জনপদ। মানুষ থেকে গৃহপালিত পশু পর্যন্ত কাপছে রাতের বরফের ঠান্ডায়। টানা চারদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে এ জেলায় বইছে হিমশীতল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তার আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা। তার আগে গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৭ ডিসেম্বর ১০ ডিগ্রি ও ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

সকালে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত চারদিন ধরে এ জেলায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই দেখা মেলে সূর্যোদয়। সূর্যের কিরণে আলো ছড়ালেও রাত তিনটা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে হারকাপানো শীত বইতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিকহারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে নি¤œ আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে। এ আয়ের মধ্য দিয়ে চলে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষন।

চা শ্রমিক আরশেদ, সাইফুল, জামালসহ কয়েকজন জানান, এখন আগের মতো কুয়াশা নেই। কিন্তু কনকনে শীত। ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করবো, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।

মহানন্দা ও ডাহুক নদীতে পাথর তোলা ইরফান, আজগর ও মোতালেবসহ কয়েকজন পাথর শ্রমিক জানায়, নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা। কিন্তু কী করবো, পাথর তোলা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। এ পাথর তুলেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাই পেটের তাগিদেই বরফ জলে নেমে পাথর তুলতে হচ্ছে।

গ্রামের গৃহিনীরা জানান, সকালে কুয়াশা না থাকলেও প্রচন্ড ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এ সময়টাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা চিকিৎসরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন