মোঃ সাহাজুদ্দিন সরকার,গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর কালিয়াকৈরে টেন্ডার ছাড়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় ৯টি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের যোগসাজসে নিয়মবহিঃভুত গাছগুলো কর্তন করে নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
নিয়ম মাফিক গাছ না কাটায় কাঠের অপচয় হয়ে সরকারী সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় নামাশুলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ কাটার এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন।
কিন্তু তিনি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে ৯টি বড় গাছ কাটা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলো কারার আগে টেন্ডার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। আর নিয়ম মাফিক গাছগুলো না কাটায় কাঠের অবচয় হয়ে কাঙ্খিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
আর গাছগুলো কাটার বিষয়ে পৃথক বক্তব্য দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস, ঠিকাদার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা কখনো বলছেন, ভবনের কাজে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এবং আবার কখনো বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কেন্দ্র প্রস্তুতের কারণে তড়িগড়ি গাছগুলো কাটা হয়েছে।
ফলে অসৎ উদ্দেশ্যে গাছ কাটার বিষয়টি এলাকায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এ খবরটি জানাজানি হলেও টেন্ডারের লক্ষ্যে তড়িগড়ি করে তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে টেন্ডারবিহীন বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে গাছ কাটা সরকারী সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলেও এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে টেন্ডারবিহীন গাছ কেটে সরকারের সম্পদের ক্ষতি করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে।
কিন্তু ওই গাছগুলোর জন্য বিল্ডিংয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ৯টি গাছ কেটে জমা রেখেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাছ কাটার বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেছে আমি তাকে বলেছি ঠিকাদারকে দিয়ে গাছ কেটে পরে নিলামে বিক্রি করার জন্য। পরে ঠিকাদার স্কুলের জমি থেকে গাছ কেটে ফেলে রেখেছে কাটা গাছগুলি পরে নিলামে বিক্রি করা হবে।