খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট।। কেয়ারটেকার সরকার বাদেই আগামী-২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরী শিক্ষক, সরওয়ার মোরশেদ।
সম্প্রতি, তিনি সাংবাদিকদের নিকট এবিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলেই যদি অংশগ্রহণ মূলক ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন হয় তবে, নির্বাচনে জনগণকে আনতে এবং সাধারণ জনগনকে ভোট দিতে আগ্রহী করে তুলতে চাইলে এখনেই, কেয়ারটেকার সরকার বাদেই ক্ষমতায় থেকে কেয়ারটেকারের চেয়ে বেশি ভালো একটি সহজ ফর্মুলার ছোট্ট আইন বর্তমান সরকার পাশ করলেই আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ১০০% সঠিক হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগেই একটি ফর্মূলা (আপাত ফর্মুলাটি উন্মুক্ত নয়) প্রয়োগে আইনের আওতায় এনে প্রকাশ্যে দেশের সকল জনগণের উদ্দ্যেশে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জানাতে পারেন। ফর্মুলাটি আইন দ্বারা পরিচালিত হবে বিধায়, প্রচলিত আইনের আওতায় সাধারণ জণগনের ৭০% বেশি ভোটার জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
এবং কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি লাগবে না, ফলে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে স্থিরতার ভাব ফিরে আসলেও আসতে পারে। প্রকাশ থাকে যে, তফসিল ঘোষানা করার পর এই ফর্মুলাটি ব্যবহারে চিত্র বদলে দিবে কিনা, তবে ফর্মুলাটি এখন ও আগামীর জন্য পুরো কাজে লাগতে পারে এবং গণতন্ত্রের উন্নয়নের স্বার্থেই সব পক্ষ মেনে নিবেন আশা করি।
ফর্মুলাটি জানতে হলে অথবা শুনতে চাইলে বর্তমান সরকারের উদ্ধঃস্তরের পর্যারের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ মহোদয়গ এবং যে কোন পক্ষ অথবা, সুশীল সমাজের কেউ আমার সাথে আলোচনা করতেও পারেন নতুবা
আবার অবান্তর ভেবে বাদও দিতে পারেন বলে ও তিনি বলেন ।
তিনি আরও বলেন,
আমি কোন রাজনীতির সঙ্গে নাই। নিজের ছোট্ট ও অতি ক্ষুদ্র শিক্ষকতার পেশায় এবং দেশের একজন সাধারণ নাগরিক থেকেও দেশকে ভালোবেসেই একটি ফর্মুলা দিতে চাই! আর তাতেই টিকসই হয়ে উঠতে পারেন দেশ, জনগণ, সরকার ও গণতন্ত্র। (আপাত ফর্মুলাটি উন্মুক্ত নয়) আলোচনান্তে জানা যাবে। হাতে খুব একটা সময় নাই। দ্রুতই শর্তগুলো নিয়ে কথা হলে ফর্মূলাটি উন্মুক্ত করা হবে।
কেউ এই ফর্মুলার আলোচনা এগিয়ে নিতে চাইলে আগে শর্ত গুলি মানতে হবে এমনটিও কিন্তু নয়। এই বারের ২০২৪ইং সালের জন্য ফর্মুলাটি খুবই কাজে আসতে পারে। তবুও পড়ুন এবং অধম এই কারিগরি শিক্ষকের শর্ত গুলো সুশীল সমাজের মেধাবীগনেরাও একটু ভেবে দেখুন,
শর্ত: (ক)
দেশের সকল শিক্ষকের মরণোত্তর কালে তাৎক্ষনিক ভাবে সকল স্তরের সরকারি/বেসরকারি ভিসি, প্রভিসি, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ,অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষকদের জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিরস্ত্রর ভাবে একটু রাষ্ট্রীয় ছালাম জানিয়ে দাফন/সমাহিত /দাহ করার ব্যবস্থা সরকারকেই আগে থেকে ঘোষনা দিতে হবে।
(খ) বাংলাদেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণের আওতায় আনার লক্ষে আগামী অর্থবছরে সরকারি
করণ করার ঘোষনা দিতে হবে।
(গ) দেশের সরকারি/বেসরকারি সংযুক্ত মাধ্যমিক সহ সকল স্তরের কারিগরির শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্বের সহিত ঢেলে সাজাতে হবে। যাতে করে যে কোন সরকার আগামিতে দেশের বেকারত্বের হার ৫০% কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন।
(ঘ) সারা দেশে সংযুক্ত মাধ্যমিক সহ সকল স্তরের কারিগরির শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক প্রচারের কাজটি করার সুযোগ চাই। এবং এই লক্ষে চলমান কাজের জন্য যাতায়তের ব্যবস্থা সহ সার্বিক কিছু ফান্ডের ব্যবস্থা প্রয়োজনে সরকার করেও দিতে পারেন।
মতামতের শেষাংশে তিনি বলেন,
বিবেচনান্তে দেশের সাধারণ নাগরিকের মধ্যে একজনের একটি সহজ ফর্মূলা অতি দ্রুত গ্রহন করুন অথবা অবান্তর ভেবে ফেলে দিন।
সরওয়ার মোরশেদ-
সভাপতি,
কারিগরি শিক্ষক (ডিপ-ইন-ইঞ্জিঃ, এম এ, এম এড) কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।