রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার:: রাতারাতি তিস্তার পানি বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার পানি। বুধবার বিকাল থেকে পানি বাড়তে শুরু করে সুন্দরগঞ্জে। বৃহস্পতিবার ভোরে তা ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল তবে সন্ধ্যা পার হতেই তা ৩৫ সেন্টিমিটার কমে সুন্দরগঞ্জে (কাউনিয়া পয়েন্ট) বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক। তিনি বলেন, ‘এখন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এই এলাকায় আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’
এর আগে, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বৃষ্টির প্রভাবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। বুধবার থেকে অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন, হরিপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে। তবে সকালের পর থেকেই পানি কমতে শুরু করে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার পানি কমে বর্তমানে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার ভারত থেকে পানি আসার খবরে বন্যার শঙ্কা দেখা দেয় উত্তরের পাঁচ জেলায়। সিকিমের বাঁধ ভাঙার খবরে বুধবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সচেতন মহল, সুধীজন ও প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিটকে নিয়ে জরুরি মিটিং এবং নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে দিনভর মাইকিং করা হয়।
বন্যা মোকাবেলয়া প্রস্তুত রাখা হয় নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বা ফ্ল্যাট শেল্টার। একইসঙ্গে জরুরি যোগাযোগে কন্ট্রোল রুম চালু করে জরুরি নৌকার ব্যবস্থাও রাখা হয়। বন্যা এবং বন্যা-পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয় উপজেলা প্রশাসন।