লালমনিরহাট প্রতিনিধি: তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রচন্ড গতিতে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ধেয়ে আসছে পানি। এতে হু হু করে বাড়ছে নদীর পানি।ভয়াবহ বন্যার আশংকা থাকায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে এবং চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছে।
বুধবার( ৪ অক্টোবর) লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা ৫২.০৮ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে দুপুর ১২ টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা ৫১.৩৯ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিস্তা দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে। ধারনা করা হচ্ছে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যহাত থাকায় ভয়াবহ বন্যার দেখা দিতে পারে।
তিস্তার বাম ও ডানতীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে মৌসুমী ফসলসহ ক্ষেত ক্ষামারের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও সব রকম প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বলেছি। আমি সার্বিক খোজখবর নেয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের পশুপাখিসহ প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিবে। আমরা সার্বিক খোজখবর রাখছি।